আহত হিজবুত তাওহিদ সদস্যের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৭

Looks like you've blocked notifications!
পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুরে মৃত সুজন হোসেনের স্বজনদের আহাজারি (ইনসেটে নিহত সুজন)। ছবি : এনটিভি

পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুরে গতকাল মঙ্গলবার সুজন হোসেন (৩০) নামে এক হিজবুত তাওহিদ সদস্যকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বুধবার ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

এ সময় উভয় পক্ষের আহত হয়েছে আরও ১০ জন। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের পাবনা ও রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে। গতকাল রাতে সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চরঘোষপুর নফসারের মোড়ের হিজবুত তাওহিদ কার্যালয়ের সামনে সুজনের ওপর হামলা করা হয়।

সুজন সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর ঘোষপুর গ্রামের মধ্যপড়া এলাকার মৃত আনিছুর রহমান মণ্ডলের ছেলে। তিনি হিজবুত তওহিদ পাবনা জেলা শাখার সদস্য এবং পেশায় ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নফসারের মোড়ে কার্যালয় ঘিরে কিছু যুবক হিজবুত তাওহিদের কার্যক্রম চালাচ্ছিল। তাদের মতাদর্শ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকাবাসীর সঙ্গে বিরোধ চলছিল। গতকাল রাত ৮টার দিকে ওই কার্যালয় সংলগ্ন একটি সেলুনের দোকানে হিজবুত তাওহিদের এক সদস্যের সঙ্গে চুল-দাড়ি কাটা নিয়ে তর্ক হয়। আধাঘণ্টা পর স্থানীয় প্রায় শতাধিক লোক লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের কার্যালয়ে হামলা করে। হিজবুত তাওহিদের সদস্যদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সুজনের অবস্থার অবনতি হয়। তাকে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অব্স্থায় মৃত্যু হয়।

সুজনের স্ত্রী শাহানা খাতুন ও ভাই মোমেনুল ইসলাম বলেন, হিজবুত তাওহিদের মতাদর্শ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে সুজনের দ্বন্দ্ব ছিল। আমরা তাকে অনেক বুঝিয়েছি কিন্তু সে শোনেনি। গতকাল রাতে চুল-দাড়ি কাটা নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে তর্ক হয়। পরে আমাদের এলাকার শেখ গোষ্ঠীর লোকজন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের কার্যালয়ে হামলা করে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, এলাকায় চুলকাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ভোরের দিকে মারা যান। বর্তমানে মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে।