ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল ঠিক করবে বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!
সংবাদ সম্মেলন। ছবি : সংগৃহীত

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের কৌশল কী হবে, তা নিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করছে। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) ২১তম সম্মেলন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। 

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক সম্পর্কে আমাদের কৌশল পরিষ্কার করব। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, তাঁরা এ অঞ্চলে কোনো একক দেশ বা গোষ্ঠীর আধিপত্যের পরিবর্তে একটি মুক্ত, শান্তিপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল দেখতে চান।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফ্রান্সে সরকারি সফরে যান।

বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের যৌথ বিবৃতি উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব জানান, যেখানে ইন্দো-প্যাসিফিকের একটি অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে এবং সবার জন্য ভাগ করে নেওয়া সমৃদ্ধিসহ একটি ‘মুক্ত, অবাধ, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক’ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশ এবং ফ্রান্স একই দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নিয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ মোমেন বলেন, ‘কিছু দেশ ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল নিয়ে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে এবং এ দেশগুলো তাদের নীতি আলাদাভাবে শেয়ার করছে।

পররাষ্ট্র সচিব ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নিজেদের অবস্থান এবং ইইউতে থাকা কিছু দেশের নাম উল্লেখ করেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আইওআরএ-এর মতো একটি বৈঠকে ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল (আইপিএস) বিষয়ে একমত হওয়া কঠিন হতে পারে।

পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, আইওআরএ-এর সদস্য দেশগুলো তাদের ধারণা শেয়ার করতে পারবে। আগামী জুলাইয়ে অনুষ্ঠাতব্য পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এবং ওই বৈঠকে আইওআরএর আইপিএস নির্ধারণ স্পষ্ট হবে।

১৫-১৭ নভেম্বর থেকে ঢাকায় ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) ২১তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ৩৩টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন।