ইভটিজিংয়ের দায়ে দুই যুবককে ৬ মাস করে কারাদণ্ড
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ইভটিজিংয়ের দায়ে দুই যুবককে ছয় মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া ইসলাম লুনা এ দণ্ডাদেশ দেন।
কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুই যুবক হলেন কুলিয়ারচর পৌরশহরের কৌতেরকান্দি মহল্লার ফেরদৌস মিয়ার ছেলে পাভেল (১৮) ও একই মহল্লার করিম মিয়ার ছেলে মো. নাঈম (১৮)। পেশায় দুজনই জুতার কারখানার কারিগর।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কুলিয়ারচর পৌরশহরের মুছা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করে চার-পাঁচ জন যুবক। পরে স্কুলে গিয়ে ওই ছাত্রী বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি ছাত্র-শিক্ষকদের সহায়তায় ঘটনাস্থলে গিয়ে এই দুই যুবককে আটকাতে পারলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
এরপর প্রধান শিক্ষক বিষয়টি ই্উএনও ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানালে তারা স্কুলে হাজির হন। পরে অভিভাবকদের উপস্থিতিতে আটক যুবকদের স্বীকারোক্তিতে তাদের প্রত্যেককে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও)।
এই ঘটনায় ইউএনও ইভটিজিংয়ের শিকার ছাত্রীর সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ইদানীং এলাকায় ইভটিজিং বেড়ে গেছে। কিছুদিন আগে এ উপজেলায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এক কৃষককে হত্যার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার আজকের এই ঘটনা ঘটল।
এ সময় ইউএনও পথেঘাটে ইভটিজিংয়ের শিকার হলে ছাত্রীদের চুপ না থেকে বিষয়টি শিক্ষকসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জানানোর আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুই যুবককে সাজা ভোগের জন্য কিশোরগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।