ধানমণ্ডি থানার মামলা

ইভ্যালির রাসেলের রিমান্ড নাকচ, জেলগেটে জিজ্ঞাসার নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল। ফাইল ছবি

রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলের রিমান্ড নাকচ করে তাঁকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এই আদেশ দেন। বিষয়টি আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার মুন্সি কামরুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।

মুন্সি কামরুল ইসলাম বলেন, আজ আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিকে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে এই আদেশ দেন।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল  ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনের (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। আদালতের বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারী মামলাটি গ্রহণের জন্য ধানমণ্ডি থানাকে নির্দেশ দেন। বিচারকের নির্দেশের পরে থানায় এজাহার দায়ের করার পরে ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

এ বিষয়ে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আজাদ রহমান বলেন, মুজাহিদুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ইভ্যালি থেকে দুই টনের একটি জেনারেল কোম্পানির এসি অর্ডার করেছিলেন। যার দাম ছিল ৮৫ হাজার টাকা। অর্ডারের পর এসি না দেওয়ায় আদালতে তিনি মামলা করেন। আদালত ধানমণ্ডি থানাকে মামলার আবেদনটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

বাদী আরজিতে বলেন, তিনি ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের দুই টন এসি এবং ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি কাঠের টি-টেবিল অর্ডার করেন। গত বছর ১১ জুলাই এসি বাবদ ৮৫ হাজার এবং ২২ জুলাই টেবিলের দুই হাজার টাকা ছাড় দিয়ে ২৩ হাজার টাকা পাঠান। পণ্য দুটি ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করবে বলে প্রতিষ্ঠানটির শর্ত ছিল।

নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর যোগাযোগ করলেও প্রতিষ্ঠানটি পণ্য দুটি ডেলিভারি করেনি। এজন্য তিনি রাসেল বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি টেবিলের টাকা ফেরত দেয়। কিন্তু এসির বিষয়ে তারা কোনো সমাধান করেনি। এরপর বাদী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ  করেন। গত ২৫ মে ইভ্যালির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসি ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাদী দাবি করেন, তিনি এসি পাননি।