ইশরাকের মামলা নির্বাচনে বাধা হবে না : ইসি

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ইশরাক হোসেন। ছবি : ফোকাস বাংলা

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার (নন-সাবমিশন) মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী কাজে কোনো বাধা হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব এসব কথা বলেন।

মো. আলমগীর বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা ছিল কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে যদি নির্বাচন পরিচালনা বা সমর্থন যারা করবেন তাদের যেন গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা না হয়। কিন্তু উনার বিরুদ্ধে যে মামলা সেটা পুরোনো মামলা। এটা একটা দুর্নীতির মামলা। তবে বিষয়টি এ ধরনের না যে, এখনই গ্রেপ্তার করতে হবে।

মামলার বিষয়ে আদালতে শুনানি হয়েছে, এটা আমাদের বা পুলিশের পক্ষ থেকে না। এটা আদালতে শুনানি হয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে একটি তারিখ ঠিক হয়েছে তখন শুনানি দেবেন তাঁরা। এর ফলে তো নির্বাচনের প্রচারে কোনো বাধা নেই।

মো. আলমগীর বলেন, তাঁকে (ইশরাক) গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে না, এমনকি কোনো বাধার সৃষ্টিও করা হচ্ছে না। এটা প্রক্রিয়াগতভাবে হবে। তিনি নির্বাচন করবেন, প্রচারও করবেন। এটার কারণে তো নির্বাচন প্রক্রিয়ার কোনো বাধা নেই।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।

শিক্ষার্থীরা তাদের ভুলটা বুঝতে পারবেন

সরস্বতী পূজার কারণে নির্বাচন পেছানোর দাবিতে আপিল বিভাগে আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ সচিব আরো বলেন, আমাদের সবসময় আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। যেকোনো আইনের ব্যাখ্যা বা প্রশাসনিক কোনো কাজ যদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে আদালত সেটাকে পরিবর্তন করে দেয় সে ক্ষমতা আদালতের আছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সর্বোচ্চ আদালত। সেখান থেকে যদি অন্য কোনো সিদ্ধান্ত আসে, সেটা অবশ্যই কমিশনের মেনে নিতে হবে। আমরা আশা করব, হাইকোর্ট যেসব যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেনসুপ্রিম কোর্টেও যারা শুনানি দেবেন তাঁরা নিশ্চয়ই যুক্তি শুনবেন, তারপরও আদালত যেকোনো সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই কমিশনকে সবসময় মেনে নিতে হবে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে সচিব বলেন, ছাত্ররা আন্দোলন কেন করছেন, কারা এটিকে সংগঠিত করছেন, সেটা আমাদের কাছে তথ্য নেই। হয়তো কেউ পেছন থেকে তাদের বুঝাচ্ছেন যে, পূজার দিনে ভোট হচ্ছে, অথবা মহামান্য আদালত যে আদেশ দিয়েছেন বুঝেশুনেই দিয়েছেন এবং নির্বাচন কমিশনও বুঝেশুনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে নিশ্চয়ই তাদের বুঝানো হচ্ছে না। তাদের হয়তো বলা হচ্ছে, গোপন করে অন্যভাবে বোঝানো হচ্ছে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা ভুল বুঝতেই পারেন, কারণ তাদের তো বয়স কম। আমার ধারণা তাদের এই ভুলটা কেটে যাবে এবং তারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন।

মো. আলমগীর বলেন, ১ তারিখ এসএসসি পরীক্ষা, মার্চে স্বাধীনতার মাস, তারপর বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী পালনের নানারকম প্রোগ্রাম অছে। এরপর এপ্রিলে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, মে মাসে নির্বাচনের যে তারিখ আছে তা কোনোভাবেই করা সম্ভব না। শিডিউল এমনভাবে দিতে হবে যে, প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীদের অবশ্যই কমপক্ষে ১৫ দিন সময় দিতে হবে প্রচারের জন্য। এ ক্ষেত্রে একদিন কম দিয়ে ১৪ দিন সময় দিলে প্রার্থীরা আবার আদালতে যেতে পারবেনআদালতও আইনের পক্ষে রায় দেবেনতাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই কমিশন অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গভাবে ৩০ জানুয়ারি ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জ্যেষ্ঠ সচিব আরো বলেন, সরকারি ক্যালেন্ডারে ২৯ তারিখ পূজার কথা বলা আছে। ক্যালেন্ডার তো সেদিন হয়নি, এটি অক্টোবরে হয়েছে। এবং নভেম্বরে এটি গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে। সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে এই ক্যালেন্ডার রয়েছে। তখন কেন তারা সরকারের কাছে বলেননি পূজা ২৯ নয়, ৩০ তারিখে। সরকার যদি মনে করত পূজা ৩০ তারিখে তাহলে সেদিন পূজার তারিখ ঘোষণা করতেন। তাহলে আমরাও ২৯ তারিখেই শিডিউল দিতে পারতাম কোনো সমস্যা ছিল না। এখন সরকারিভাবে ২৯ তারিখ পূজার তারিখ দেওয়ায় সেদিন ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না নির্বাচন কমিশনের।