ইসির মামলায় ডা. সাবরীনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২ নভেম্বর
তথ্য গোপন করে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করার অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানার মামলায় দায়ের করা জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার, সংক্ষেপে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী আজ বৃহস্পতিবার এই দিন ধার্য করেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আজ এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু প্রতিবেদন না আসায় বিচারক নতুন দিন ধার্য করেছেন।’
এর আগে গত ৩০ আগস্ট রাতে গুলশান থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মমিন মিয়া বাদী হয়ে ডা. সাবরীনার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। এরপর এ মামলায় সাবরীনাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুদিনের রিমান্ডে পাঠান ঢাকার সিএমএম আদালত। রিমান্ড শেষে পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৭ আগস্ট নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফের দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রই (এনআইডি) ব্লক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে গত ২৭ আগস্ট জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনু বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফের দ্বৈত ভোটার হওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়। তারপর আমরা তাঁর দুটি পরিচয়পত্র যাচাইয়ের জন্য তদন্ত করি। তদন্ত করে দেখা গেছে, ডা. সাবরীনার দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। প্রথমটি করা হয়েছিল ২০০৯ সালে, যেটি মোহাম্মদপুর থানা নির্বাচন অফিস থেকে করা হয়। আর দ্বিতীয়টি গুলশান থানা নির্বাচন অফিস থেকে ২০১৬ সালে করা হয়।’
মহাপরিচালক ওই দিন আরো বলেন, ‘আইন অনুযায়ী প্রথমটি বৈধ, দ্বিতীয়টি অবৈধ।’