ইসির মামলায় ডা. সাবরীনার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন

Looks like you've blocked notifications!
জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফ চৌধুরী। ফাইল ছবি 

তথ্য গোপন করে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করার অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মমিনুল ইসলাম।

বিষয়টি আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আদালত আগামী বৃহস্পতিবার ডা. সাবরীনার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন।’

এর আগে গত ৩০ আগস্ট রাতে গুলশান থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মমিন মিয়া বাদী হয়ে ডা. সাবরীনার বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করেন।

এদিকে ২৭ আগস্ট নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফের দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রই (এনআইডি) ব্লক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গত ২৭ আগস্ট জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক থেকে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফের দ্বৈত ভোটার হওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়। তারপর আমরা তাঁর দুটি পরিচয়পত্র যাচাইয়ের জন্য তদন্ত করি। তদন্ত করে দেখা গেছে, ডা. সাবরীনার দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। প্রথমটি করা হয়েছিল ২০০৯ সালে। যেটি মোহাম্মদপুর থানা নির্বাচন অফিস থেকে করা হয়। আর দ্বিতীয়টি গুলশান থানা নির্বাচন অফিস থেকে ২০১৬ সালে করা হয়।’

মহাপরিচালক ওই দিন আরো বলেন,  ‘আইন অনুযায়ী প্রথমটি বৈধ, দ্বিতীয়টি অবৈধ।’