ইসি একেবারেই ব্যর্থ, অযোগ্য : মির্জা ফখরুল

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন ঢাকার দুই সিটিতে মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আউয়াল। ছবি : এনটিভি

নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন (ইসি) একেবারেই ব্যর্থ ও অযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ রোববার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন এবং ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।

এ সময় বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনা করতে এই কমিশন একেবারেই ব্যর্থ ও অযোগ্য। এর প্রমাণ হচ্ছে, যেদিন তারা সিটি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে রেখেছিল, সেদিন ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা। বড় সমস্যা হচ্ছে, যেখানে নির্বাচনী কেন্দ্রগুলো হয়, সেখানেই পূজা হয়। এতে করে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারত। কিন্তু এসব চিন্তা না করে তারা তারিখ নির্ধারণ করেছে। নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতার কারণেই এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়।’

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা মানুষ ছিলেন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।’

বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, ‘কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, আমরা যখন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিবস পালন করছি, তখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যাবাদী আওয়ামী লীগ সরকার কারাগারে আটকে রেখেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত করে রেখেছে। লাখ লাখ বিএনপির নেতাকর্মীকে তারা মিথ্যা মামলা দিয়েছে, হত্যা করেছে, গ্রেপ্তার করেছে, গুম করেছে, খুন করেছে। দেশটিকে একটি অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে তারা।’

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘আজ আওয়ামী লীগ দেশে একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা তৈরি করতে চায়। সে জন্যই তারা অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়ে যাচ্ছে। আজ আমরা এখানে শপথ নিয়েছি, যেকোনো ত্যাগের বিনিময়ে আমরা এই দেশকে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করব, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব। বহুদলীয় গণতন্ত্র মানেই তো সবার সমান সুযোগ।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকে দেশের সব গণতান্ত্রিক স্তরকে সংকুচিত করে ফেলেছে, স্পেসগুলো বন্ধ করে দিয়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রমগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। আজ এই ঢাকা সিটি নির্বাচনে একটি দলের প্রার্থীরা বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। কারণ, একটি অযোগ্য নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিতে সক্ষম নয় এবং তাদের সেই যোগ্যতা নেই।’

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সমালোচনা করে ফখরুল আরো বলেন, ‘ইভিএমে নির্বাচন করার মানে হচ্ছে, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়ার আরেকটি অপকৌশল। জনগণের রায় কখনো ইভিএমের মাধ্যমে জনগণের সামনে আসবে না। ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে একটি ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থা। পৃথিবীর কোনো দেশেই এই ব্যবস্থাকে ত্রুটিহীন সিস্টেম বলা যায় না। ব্যালটের মাধ্যমে যদি ভোট দেওয়া হয়, সেটিই জনগণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা। জনগণ ভোট দিলে চুরি-ডাকাতি না হলে মোটামুটি একটা ফল পাওয়া যায়। কিন্তু ইভিএমে যথেষ্ট ত্রুটি আছে ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করার।’