ইয়াসে হাতিয়ায় প্লাবিত ২৫ গ্রাম, হুমকির মুখে বাঁধ

Looks like you've blocked notifications!
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারে প্লাবিত হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল। ছবি : এনটিভি

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিম্নাঞ্চলের ২৫টি গ্রাম ও নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের নয়টি গ্রাম। এ ছাড়া সুখচরে জোয়ারের পানির তোড়ে ভেসে গিয়ে লিমা আক্তার (৭) নামের এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। 

গতকাল বুধবারের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হাতিয়ার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে হুমকির মুখে রয়েছে হাতিয়ার কয়েকটি ইউনিয়ন। অস্বাভাবিক জোয়ারে চরঈশ্বর ইউনিয়ন ও হরনি চানন্দি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে চেয়ারম্যানঘাট, মাইচ্ছা মার্কেট, বাদশা মিয়া গ্রাম ও তালুকদার গ্রামের লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে।

এদিকে, নিঝুমদ্বীপে বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে গেছে নয়টি গ্রাম। প্লাবিত গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে মোল্লা গ্রাম, মদিনা গ্রাম, ছোয়াখালী গ্রাম, নামার বাজার, চর ওসমান, সিডি এসপি এলাকা, মুন্সি গ্রাম, শতফুল গ্রাম, বাদামখালী গ্রামসহ নয়টি গ্রাম তিন থেকে চারফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

হাতিয়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সহকারী পরিচালক মো. বদিউজ্জামান জানান, হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের সবগুলো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাকি ইউনিয়নগুলোর কিছু কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপজেলার ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাব এক হয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দুর্গত মানুষের আশ্রয়ের জন্যে ১৮১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয় এবং দুর্গত মানুষের জন্য ইউনিয়ন প্রতি দুইলাখ ৫০ হাজার টাকার শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে।’