ঈদের নামাজে খুৎবা পড়া নিয়ে বিরোধ, বৃষ্টির মধ্যেই সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

Looks like you've blocked notifications!
ধামরাই থানা। ফাইল ছবি

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজে খুৎবা পড়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ মুসল্লির অবস্থা গুরুতর। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। ধামরাইয়ের যাদবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বিলকুশনাই গ্রামের ঈদগাহ ময়দানে গতকাল মঙ্গলবার এ সংঘর্ষ ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকাল ১১টায় উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বিলকুশনাই গ্রামের ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষ না হতেই হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় খুৎবা পড়া আর না পড়া নিয়ে মুসল্লিরা দুদলে বিভক্ত হয়ে যান। প্রচণ্ড বৃষ্টিতে এক পক্ষ খুৎবা না পড়ার প্রস্তাব দিলে অপর পক্ষ এর প্রতিবাদ করেন।

একপর্যায়ে এ নিয়ে বিবদমান দুদলের মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। প্যান্ডেলের বাশের খুঁটি খুলে মুসল্লিরা ভয়াবহ সংঘর্ষে লিপ্ত হন। বৃষ্টির মধ্যেই চলে ব্যাপক সংঘর্ষ, ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া। এতে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক মুসল্লি আহত হন।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মোল্লা মো. সোলাইমান হোসেন, মো. রজ্জব আলী মোল্লা, মো. শামীম মোল্লা, মো. ফারুক হোসেন মোল্লা, আলী হোসেন, মো. জুলহাস উদ্দিন মোল্লা, মো. নাজিম উদ্দিন, মো. মামুন হোসেন, মো. এনায়েত হোসেন, মো. জুয়েল মোল্লা, মিনহাজ উদ্দিন মোল্লা, মো. নাজমুল হোসেন, শামীম হোসেন ও মো. দুলাল মোল্লা।

আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান আতিক বলেন, ‘খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শৃঙ্খলা রক্ষায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

এ ঘটনার পর কোনো পক্ষ থেকে থানায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করা হয়নি জানিয়ে ওসি বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’