ঈদ শেষে রাজধানীতে ছুটছেন কর্মজীবীরা
ঈদের ছুটি শেষে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাট দিয়ে রাজধানী ঢাকায় ছুটছেন কর্মজীবীরা। বাংলাবাজার ঘাটে আজ রোববার সকাল থেকে কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এ ছাড়া শিমুলিয়া ঘাট থেকে আজও বাড়ি ফিরছেন অনেকেই।
বাংলাবাজার ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক ভজন সাহা জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রাপথে দুটি ফেরিতে প্রচণ্ড গরমে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে পাঁচজন নিহত হওয়ার পর ফেরি সার্ভিসে গতি আনা হয়েছে। এই নৌরুটে বর্তমানে চলাচল করছে ১৫টি ফেরি। সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করলে ফেরিতে যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। এ ছাড়া পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ঘাট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যেরা।
এদিকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় বিভিন্ন যানবাহনে তিন থেকে চারগুণ বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীদের।
বরিশাল থেকে আসা শান্তা ইসলাম নামের এক কর্মজীবী নারী বলেন, ‘আমরা অনেক কষ্ট করে ঘাটে এসেছি। আগামীকাল থেকে অফিস খোলা, কী করব? অনেক টাকা ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসতে হয়েছে। সরকার যদি (দূরপাল্লার) গণপরিবহণ চালু রাখতো, তাহলে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হতো না।’
সোহান নামের এক যাত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত, কিন্তু হাজার হাজার মানুষের মধ্যে সে সুযোগ নেই। আমাদের কারখানা খোলা আগামীকাল। তাই যেকোনো উপায় যেতে হবে।’
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে একাধিক টিম কাজ করছে। তিনি নাগরিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।