উখিয়ার রাজাপালংয়ের চার ওয়ার্ডে রেড জোন ঘোষণা
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের চারটি ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই চার ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে আগামী রোববার পর্যন্ত ২, ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে রেড জোন কার্যকর থাকবে।
এ ছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা এবং পাঁচটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত ২১ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এসব ক্যাম্পে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছিল। উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় বাইরে থেকে কারো প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ ছাড়া সব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ ও বের হওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এবং কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ৩১ মে পর্যন্ত চলা লকডাউন আগামী ৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে রাজাপালং ইউনিয়নের চার ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই চার ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়। আগামী রোববার (৬ জুন) পর্যন্ত ২, ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে রেডজোন কার্যকর থাকবে। এর পাশাপাশি পাঁচটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. পারভেজ চৌধুরী জানান, কক্সবাজার জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে, টেকনাফ উপজেলা ২১ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন দেওয়া হয়েছিল। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে না আসায় আগামী ৬ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন হবে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামসুদ্দৌজা বলেন, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উখিয়ার পাঁচটি মেগা ক্যাম্প ৬ জুন পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের আওতায় রয়েছে। ক্যাম্পে খাদ্য, চিকিৎসাসহ জরুরি কার্যক্রম ছাড়া সব প্রকার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সব এনজিও, আইএনজিও, জাতিসংঘের সংস্থাসহ ক্যাম্পগুলোতে কর্মরত সংশ্লিষ্ট সবার গাড়ি চলাচল ও আসা-যাওয়া কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।