উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত
রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে তিনদিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। সকাল থেকে হিমেল বাতাস, কালো মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এবং হালকা কুয়াশা পড়ার পর রাতে ভারী কুয়াশা নেমে আসে। সেইসঙ্গে বাড়ছে শীতকালীন নানা রোগ।
রংপুর বিভাগের আট জেলাসহ উত্তর জনপদে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। বিশেষ করে সূর্য না ওঠায় ঠান্ডায় স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষজন ঘর থেকে বের হতে না পেরে বেকার সময় কাটাচ্ছেন। ঠান্ডায় শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি ও জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে।
সকাল গড়িয়ে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়ে পড়ছে পুরো পঞ্চগড় জেলা। ঘন কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় দিনমজুর খেটে খাওয়া অসহায় মানুষ ও রিকশা-ভ্যান চালকদের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. সিরাজউদ্দৌলা পলিন জানিয়েছেন, শিশুদের ক্ষেত্রে শীতকালিন রোগের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যাই বেশি। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও এ সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, শীতার্তদের গরম কাপড় ও শুকনো খবার বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ করে জেঁকে বসছে শীত। শীত নিবারণে হিমশিম খাচ্ছে হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ। শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও। ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা।
অন্যদিকে, হিমালয়ের পাদদেশে হওয়ায় দিনাজপুরে শীতের তীব্রতা একটু বেশি। কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসের মাঝামাঝি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।