চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন

উন্নয়ন চালু রাখতে চান রেজাউল, শাহাদাত চান ভোটকেন্দ্রে সুরক্ষা

Looks like you've blocked notifications!
মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি : এনটিভি

চট্টগ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিভিন্ন দলের মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা। আজ বুধবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন। দুপুরের দিকে মনোনয়নপত্র জমা দেন মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এরপর জমা দেন বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে। অন্যদিকে বিএনপির ডা. শাহাদাত চান ভোটকেন্দ্রের সুরক্ষা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর উভয়েই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন নয়জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ২০৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে জমা দিয়েছেন ৫৭ জন।

বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত নগরীর লাভলেইন আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিভিন্ন দলের মেয়র পদপ্রার্থীরা। সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার কাছে সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন।

দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেন মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। ওই সময় মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, সহসভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, অর্থ সম্পাদক এম এ সালাম উপস্থিত ছিলেন।

পরে রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান মেয়রের যে পরিকল্পনা চলমান রেখেছেন, সৌন্দর্য বৃদ্ধি থেকে শুরু করে যেসব প্রকল্প চলমান রয়েছে এগুলোকে আমি বেগবান করব। আমি আমার পূর্ববর্তী মেয়রদের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চট্টগ্রামকে কীভাবে পরিবেশবান্ধব, মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত করা যায়, সে নিয়ে কাজ করব।’ তিনি আরো বলেন, ‘সমন্বিত প্রয়াসে সর্বশ্রেণির মানুষের পরামর্শক্রমে এ শহরের প্রত্যাশা পূরণ করব।’

পরে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন রিটানিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় নেতা মাহাবুবুর রহমান শামীম, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে ভোটের দিন বুথগুলোতে সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ও ভোটের দিন দুই দিন পেছানোর দাবি জানান শাহাদাত হোসেন।

ডা. শাহাদাত সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসিকে (নির্বাচন কমিশন) বলতে চাই ইভিএম পদ্ধতি দুটো প্যানেল রয়েছে, অপারেটিং প্যানেল ও ব্যালট প্যানেল। ওই ব্যালট প্যানেলের সুরক্ষা আপনাদের দিতে হবে। সেখানে যাতে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী বসে আমার ভোট যাতে জালিয়াতি করতে না পারে, দিতে না পারে। সেজন্য বারবার বলেছি, প্রত্যেকটা বুথের মধ্যে, যেহেতু একটাই নির্বাচন সিটি করপোরেশনের সেখানে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার বুথ থাকতে পারে। কাজেই প্রতিটা বুথের মধ্যে যদি একজন করে সেনাবাহিনীর উইথ অ্যাপ্রোন অফিসার নিয়োগ করা যায় যারা ভোটারদের ভোটের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্বে থাকবেন। পাশাপাশি পোলিং এজেন্টের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকবে। আশা করি জনগণ তাদের ভোটাধিকার রক্ষার জন্য ভোটমুখী হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। মনোনয়নপত্র যাচাই- বাছাই আগামী ১ মার্চ। আপিল করা যাবে ২ মার্চ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহার আগামী ৮ মার্চ। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে আগামী ৯ মার্চ।