উবারের বাইক থেকে পড়ে আহত ইডেনের ছাত্রী মারা গেলেন

Looks like you've blocked notifications!

রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানের পাশের রাস্তার অ্যাপ-ভিত্তিক ভাড়ায়চালিত উবারের মোটরসাইকেল থেকে পড়ে আহত ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী আকলিমা আক্তার জুঁই (২৫) মারা গেছেন।

আজ সোমবার সকালে জুঁই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান। গত শনিবার তিনি মোটরসাইকেল থেকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন। তার পরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

জুঁইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল খান।

এএসআই বলেন, ‘ঘটনার দিন আহত জুঁইকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন উবার চালকসহ আরেকজন। পরে চালকের মোটরসাইকেলটি জিম্মায় নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু পরে চালক মোটরসাইকেলটি ফেলে রেখে পালিয়ে যান। তবে কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটে তা আমি জানি না। ঘটনাটি ভালো বলতে পারবেন কাফরুল থানার পুলিশ।’

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গত শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে আসেন কাফরুল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন সার্জেন্ট পারভেজ। তিনি সবকিছু জানেন। তবে ছাত্রীটি মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়েছিলেন একটি গর্তের মধ্যে হোন্ডার ঝাঁকুনি খেয়ে। চালকের মোটরসাইকেলটি আমাদের কাছে আছে। তবে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র অন্য আরেকজনের নামে। কিন্তু কাগজপত্রের নাম পরিবর্তনের একটি আবেদনপত্র আমরা পেয়েছি। সেখানে চালকের নাম সুমন লেখা ছিল।’ 

পরে শেরেবাংলা জোনের সার্জেন্ট পারভেজ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘উবার চালকের মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায় আকলিমা আক্তার জুঁই। মেট্রো রেলের কাজ চলাতে রাস্তায় অনেক গর্ত আছে। ওই গর্তের মধ্যে মোটরসাইকেল পড়ায় ঝাঁকুনি খেয়ে পড়ে গিয়ে জুঁইয়ের মাথায় আঘাত লাগে। মোটরসাইকেল চালক কিন্তু পড়েননি।’

সার্জেন্ট পারভেজ আরো বলেন, ‘দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। সবাই বলেছেন, মোটরসাইকেল থেকে একা একাই পড়ে যান জুঁই। কোনো মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো যানবহনের সঙ্গে ধাক্কাও লাগেনি। উবারে মেয়েরা উঠলে তো একটু ফাঁকা হয়ে বসে। সেও হয়তো সেভাবে ছিল। হয়তো অসচেতন অবস্থায় ছিল। সেজন্য ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গেই পড়ে যায়। পরে মাথা ও কানে আঘাত লাগে তার।’

সার্জেন্ট আরো বলেন, ‘ওই উবার চালক মেয়েটিকে রিকশায় তুলে আল রাজি হাসপাতালে নিয়ে যান। সঙ্গে মেট্রোরেলের সুমন নামের এক কর্মকর্তা ও আরেকজন নারীও ছিলেন। পরে সেখান থেকে জুঁইকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।’

কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিমুজ্জামান বলেন, ‘এই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হযনি। তবে কেউ মামলা করতে এলে মামলা নেওয়া হবে।’

নিহত জুঁই নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে। পরিবারের সঙ্গে মিরপুর পূর্ব কাজীপাড়া ৫০৩ নম্বর বাসায় থাকতেন। দুই বোনের মধ্যে জুঁই ছোট।