উৎসব-আনন্দের লেশমাত্র নেই দৌলতপুরের ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
সারা দেশে উৎসবের আমেজে আজ রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকদেরও দীর্ঘদিন পর হেঁটে, রিকশায় বা বিভিন্ন যানবাহনে করে সন্তানদের সঙ্গে স্কুল-কলেজ পর্যন্ত যেতে দেখা গেছে। আর, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্টরা। দীর্ঘ দেড় বছর পর স্কুল-কলেজ মুখরিত হলেও হাসি নেই বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকার শিশু-কিশোরদের মুখে। কারণ, বন্যার কবলে রয়েছে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলের রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও বন্যাকবলিত হয়ে আছে। এ দুই ইউনিয়নের সর্বত্র জলমগ্ন থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করা শিক্ষার্থীদের জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বন্যাকবলিত রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং চিলমারী ইউনিয়নের ১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসাসহ মোট ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে চরম দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে এখানকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার বলেন, ‘বন্যার কারণে রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা নিয়মিত বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করছি। এ ছাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে খোঁজ-খবর রাখছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
দৌলতপুর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২১৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১০২টি এবং মাদ্রাসা রয়েছে ১৫টি। চরাঞ্চলের পানিবন্দি থাকা ৩০টি ছাড়া বাকি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ মেনে আজ থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে।