একই পরিবারের ৮ জন দগ্ধের ঘটনায় এক নারীর মৃত্যু

Looks like you've blocked notifications!

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার সাইনবোর্ডের একটি বাসার রান্নাঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের আটজন দগ্ধের ঘটনায় বয়োজ্যেষ্ঠ নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে  সাইনবোর্ড সাহেবপাড়া এলাকার পাঁচতলা একটি বাড়ির নিচতলার এক বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় আটজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বেলা ১১টার দিকে এক নারীর মৃত্যু হয়। বার্ন ইউনিটের পরিচালক ডা. বিধান সরকার ওই নারীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকত পরিবারটি। লাইনের গ্যাসে বেশি চাপ না থাকায় বাসায় সিলিন্ডার গ্যাসও ব্যবহার করতেন তাঁরা। গ্যাসের সমস্যা থাকায় রাতে গ্যাসের চুলার সুইচ চালু করেই ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা। ভোরবেলায় উঠে ম্যাচ জ্বালাতেই জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিকট বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পরিবারটির আট সদস্য দগ্ধ হন।

চিকিৎসাধীন দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন আবুল হোসেন ইমন (২৩), তাঁর ছোট ভাই মাদ্রাসাছাত্র আপন (১০), বাবা মো. কিরণ মিয়া (৫০), চাচা মো. হিরণ মিয়া (৩০), চাচি মুক্তা বেগম (২০) ও চাচাতো বোন লিমা (৩) ও ফুপাতো ভাই স্কুলছাত্র কাউছার আহমেদ (১৩)। ইমনের দাদি নুরজাহান বেগম (৭০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

ইমনের ফুফা মো. ইলিয়াস জানান, ইমনদের বাড়ি নরসিংদী শিবপুর উপজেলার কুমড়াদি গ্রামে। তাঁরা সাইনবোর্ডের সাহেবপাড়া ফারুকের পাঁচতলা বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকেন। সাইনবোর্ডে ‘নরসিংদী গার্মেন্টস’ নামে একটি গেঞ্জির কারখানা আছে তাঁদের। আর ওই কারখানারই শোরুম ঢাকার গুলিস্তানের ঢাকা ট্রেড সেন্টারের আন্ডারগ্রাউন্ডে। ইমন, তাঁর বাবা কিরণ ও চাচা হিরণ একই সঙ্গে ব্যবসা করেন। থাকতেনও একই বাসায়। পাঁচ মাস আগে বিয়ে করেন ইমন। তাঁর স্ত্রী শামীমা সিদ্দিকী ঘটনার সময় বাসায় ছিলেন না। এর আগেই সানারপাড়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন শামীমা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানান, ইমনের শরীরের ৪৫ শতাংশ, কিরণের ৭০, হিরণের ২২, কাউছারের ২৫,  মুক্তার ১৫, লিমার ১৪ ও আপনের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া নিহত নুরজাহানের শরীরে শতভাগ পুড়ে গিয়েছিল। বেলা ১১টার দিকে তিনি মারা যান।

ইমনের চাচা মো. কিরণ মিয়াকে বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বাকি ছয়জনকে বার্ন ইউনিটের ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।