এক রশিতে প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যা

Looks like you've blocked notifications!
পটুয়াখালীতে সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় একই রশিতে ঝুলে প্রাণ দিলেন প্রেমিক-প্রেমিকা। ছবি : এনটিভি

ভালোবেসে আত্মহননের বাস্তব গল্প সৃষ্টি করে তাঁরা চিরদিনের জন্য ছুটি নিলেন এই পৃথিবী থেকে। প্রেমের বলি হলেন প্রেমিক-প্রেমিকা। পটুয়াখালী সদরের মাদারবুনিয়া ইউনিয়নে একই রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে ওই প্রেমিক যুগল। এছাড়াও জেলা সদরের জৈনকাঠী গ্রাম থেকে প্রেমঘটিত কারণে আরেক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।

আজ শনিবার পটুয়াখালীর পৃথক পৃথক স্থান থেকে তিন তরুণ-তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পটুয়াখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার মোর্শেদ জানান, আজ সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের বিরাজালা গ্রামে পরিত্যক্ত বাগানের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় সোহেল হাওলাদার (১৭) ও নাসরিন আক্তার (১৪) নামের দুই চাচাত ভাই-বোনের মরদহে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সোহেল হাওলাদার ২০২০ সালে স্থানীয় হাজিখালী মাদ্রাসা থেকে দাখিল (এসএসসি সমমান) পাশ করেছে। এবং নাসরিন একই গ্রামের হাজিখালী আব্দুল হাই বালিকা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সকালে পুলিশ গিয়ে একটি গাছের ডাল থেকে একই রশির দুই মাথায় ঝুলানো দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

দীর্ঘদিন ধরে এদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন তাদের ফুফাত ভাই মো. আবুল বাশার।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বেল্লাল হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে চিপসের প্যাকেট, চকলেক, আচার, সেভেনআপ, চানাচুর পাওয়া গেছে।

এদিকে, পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠী গ্রাম থেকে তানজিলা আক্তার (১৭) নামের এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, তানজিলার সঙ্গে তাঁর বড় বোনের দেবর জুবায়েরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তানজিলার পরিবার তাদের এ সম্পর্ক মেনে নেয় না। তারা অন্য জায়গায় তানজিলাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গলায় ফাঁস দিয়ে তানজিলা আত্মহত্যা করে বলে পরিবারের দাবি।

এ ব্যাপারে ওসি আকতার মোর্শেদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।