এক সপ্তাহ পেছানো হলো ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন

Looks like you've blocked notifications!
সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে বাস্তবায়নের জন্য এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে। আগের ঘোষিত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবরের পরিবর্তে আগামী ৪ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ক্যাম্পেইনটি করা হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় পুষ্টিসেবা।

জাতীয় পুষ্টিসেবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বুধবার জানানো হয়েছে, অ্যাডভোকেসি সভা, স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ, সাংবাদিক অরিয়েন্টেশন, প্রচার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রান্তিক পর্যায়ে পাঠানো ও প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং ক্যাম্পেইন-সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যাবলী যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগের ঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ সেবা ও কার্যক্রম পালন করা হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও নির্বাচিত স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়মিত কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা এবং কোনো স্বাস্থ্যকর্মী বা স্বেচ্ছাসেবক জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হলে তাঁর পরিবর্তে অন্যকে দায়িত্ব দিতে হবে বলেও জানানো হয়।

আরো বলা হয়েছে, ক্যাম্পেইন চলাকালে ইপিআই কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে (মুখে মাস্ক পরা, সাবান ও পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে ভালোভাবে বার বার দুই হাত ধৌত করা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে বার বার হাত পরিষ্কার করা) শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।

নির্ধারিত ইপিআই শিডিউল অনুযায়ী, সাধারণত প্রত্যেক ওয়ার্ডের (পুরাতন) আটটি সাব-ব্লকে সপ্তাহে দুদিন ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। ওই দুদিন ছাড়া বাকি চারদিন নির্ধারিত ইপিআই কেন্দ্রে পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার কল্যাণ সহকারী ও স্বেচ্ছাসেবীদের শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপুসল খাওয়ানো হবে। এ ছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

উপজেলার ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পরিবার কল্যাণ পরিদর্শকের সঙ্গে সমন্বয় করে সপ্তাহে চারদিন নির্ধারিত ইপিআই কেন্দ্রে ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে রুটিন দায়িত্ব হিসেবে পর্যায়ক্রমে শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য পরিকল্পনা করতে হবে।

সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মেয়রের পরামর্শে স্বাস্থ্য সেক্টরে কর্মরত মেডিকেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে সপ্তাহে চারদিন নির্ধারিত ইপিআই কেন্দ্রে রুটিন দায়িত্ব হিসেবে পর্যায়ক্রমে শিশুদের স্ব স্ব পৌরসভায় ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পরিকল্পনা করবেন।

কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ প্রতিরোধের স্বার্থে কেন্দ্রগুলোতে সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক সতর্কতা (ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং কমপক্ষে তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা) মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।