এটিএম বুথ থেকে আড়াই কোটি আত্মসাৎ, তিনজন রিমান্ডে
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তার নেতৃত্বে একই ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ৬৩৭ গ্রাহকের দুই কোটি ৫৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তিন আসামিকে তিনদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর অর রশিদ এই আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ মোতালেব এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চার আসামিকে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তিন আসামিকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। তবে সায়মা আক্তার নামের এক নারীর রিমান্ড নাকচ করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
রিমান্ডকৃত আসামিরা হলেন- আল-আমিন বাবু, মেহেদী হাসান মামুন ও আসাদুজ্জামান আসাদ।
এ বিষয়ে আজ ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের একটি দল। হাফিজ আক্তার বলেন, জালিয়াতির এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এডিসি ডিভিশনের সিনিয়র অফিসার মীর মো. শাহারুজ্জামান রনি দেশের বাইরে পালিয়েছেন। টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলার পর তদন্ত শুরু করে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, তাদের অনুসন্ধান ও গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এডিসি ডিভিশনে সিনিয়র অফিসার হিসাবে মীর মো. শাহারুজ্জামান রনি এই পদে কর্মরত থেকে তিনি দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্ত্রীসহ অন্যান্য গ্রেপ্তার সহযোগীদের দিয়ে এটিএম বুথে লেনদেন করাতেন। লেনদেনের পর এটিএমের ইলেকট্রনিক জার্নাল এমনভাবে পরিবর্তন করে দিতেন যাতে পরবর্তী সময়ে এটিএম থেকে টাকা না পাওয়ার অভিযোগ সঠিক বলে প্রতীয়মান হয়।
হাফিজ আক্তার বলেন, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম মনিটরিং রোস্টার টিমে কর্মরত থাকা অবস্থায় রনি উপস্থিত থেকে এবং কৌশলের মাধ্যমে বিভিন্ন এটিএমের ইলেকট্রনিক জার্নাল পরিবর্তন করে ৬৩৭টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এক হাজার ৩৬৩টি লেনদেন হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ আরও বলেন, এর মাধ্যমে জালিয়াতরা দুই কোটি ৫৭ লাখ এক হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। বর্তমানে রনি দেশের বাইরে আত্মগোপনে আছে। তাকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।
ডিবি জানায়, জালিয়াতির মাধ্যমে এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন চক্রের ছয়জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে।