এডিস মশার বিস্তাররোধে সচেতন না হলে জরিমানা : মেয়র তাপস

Looks like you've blocked notifications!
নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি : এনটিভি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, এডিস মশার বিস্তার কমাতে প্রথমে সচেতনতা চালানো হবে। যদি এরপরও রাজধানীবাসী বাসাবাড়ি পরিষ্কার না রাখেন তবে জরিমানা করা হবে। এবার আশঙ্কা বেশি হওয়ায় যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে এডিস মশা নিধনে কাজ করা হবে। 

নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র তাপস জানান, ১৫ জুন থেকে ডেঙ্গু নিধনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে ও অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযানের মেয়াদ হবে চার মাস। এর আগে এই অভিযান হতো তিন মাসব্যাপী।

মেয়র তাপস জানান, বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিস্তৃত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণে নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট দুই জন। অভিযানের জন্য অতিরিক্ত ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট চাওয়া হয়েছে। এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মশা নিধন কার্যক্রমে জোর দেওয়া হবে বলে জানান মেয়র তাপস।

মেয়র বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী এবারের ডেঙ্গুর প্রকোপ গত বছরের তুলনায় বেশি হতে পারে। তাই বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আশ্বিন মাস পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে। নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট মাত্র দুই জন। এজন্য অতিরিক্ত ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছি। সেক্ষেত্রে ১০টি অঞ্চলে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। মশার উৎস ধ্বংস করাই উদ্দেশ্য। এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য সংস্থার প্রতি আহ্বান, তারা যেন নিজ নিজ অফিস আদালত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, রেলওয়ের ঢাকা ডিভিশনাল মেডিকেল অফিসার ডা. রিপন দাস, রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট সোহেল রানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. হাসান ফারুক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উপ-পরিচালক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, বিজিবির লে. কর্নেল নুরজাহান আক্তার, বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক মো. আবদুল হক, রাজউক সদস্য তন্ময় দাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার মো. এমদাদুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ডা. ফাতিমা জোহরা প্রমুখ।