এনটিভির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এনটিভি ১৭ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিনটি উপলক্ষে এনটিভির পরিচালনা পর্ষদ, সাংবাদিক, কলাকুশলীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও অনুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে দেশের মানুষের উন্নত মনন গঠন এবং জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসসহ নানা অপতৎপরতা দমনে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে অবদান রাখতে হবে। সেইসঙ্গে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে পরিণত করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আশা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এনটিভি সঠিক তথ্য-উপাত্ত পরিবেশন ও সামাজিক দায়বদ্ধতা বজায় রেখে নিরপেক্ষ সংবাদ প্রচার ও রুচিশীল অনুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে দেশজ শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিশ্বের সামনে তুলে ধরবে। তা ছাড়া এনটিভি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় দেশে গণমাধ্যমের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে তাঁর সরকারই দেশে প্রথম বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালুর অনুমোদন দিয়েছিল।
সরকার রূপকল্প-২০২১ এবং রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এসব লক্ষ্য অর্জনে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে গণমাধ্যম, তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এ ছাড়া জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ প্রণয়ন, বেসরকারি খাতে ৪৪টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০২০ সাল একটি তাৎপর্যপূর্ণ বছর। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, এ বছর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উদযাপন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান এই নেতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পরিকল্পনামাফিক অনুষ্ঠান উদযাপন করা যাচ্ছে না।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের সার্বিক কল্যাণের কথা বিবেচনা করে জনসমাগম হয় এমন অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। তিনি জানান, টেলিভিশন, বেতার ও ডিজিটাল মাধ্যমে কিছু কিছু অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। অন্যদিকে, করোনা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে গণমাধ্যমকে প্রয়োজনীয় অনুষ্ঠান বা সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানোর তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।