এনু-রুপনের ৯১টি ব্যাংক হিসাব জব্দ
রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের দুই নেতা এনামুল হক এনু ও তাঁর ভাই রুপন ভূঁইয়ার ৯১টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাদক, মানি লন্ডারিং, অস্ত্র ও দুদকের একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার এনু ও রুপনের ৯১টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ চেয়ে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ৯১টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এনু–রুপনের ছোট্ট বাসায় অভিযান চালিয়ে সিন্দুক ও বস্তার মধ্যে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা, পাঁচ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআর এবং প্রায় এক কেজি স্বর্ণ পায় র্যাব। এ ছাড়া প্রচুর বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার করা হয়।
ওই দিন দুপুরে ঘটনাস্থলে ব্রিফিংয়ে র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রকিবুল হাসান বলেন, ‘অভিযানে নগদ ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআর এবং প্রায় এক কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছি। নয় হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১৭৪ মালয়েশীয় রিঙ্গিত, পাঁচ হাজার ৩০০ ভারতীয় রুপি এবং এক হাজার ১৫০ চীনা আরএমবি উদ্ধার করতে পেরেছি।’
র্যাব কর্মকর্তা জানান, এই টাকা ও স্বর্ণালংকার র্যাব থানায় হস্তান্তর করবে। থানা থেকে এসব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেওয়া হবে। এর আগেও দুই নেতার বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানের পর টাকা ও স্বর্ণ এখানে এসেছে কি না, তা জানাতে পারেনি র্যাব।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে গেণ্ডারিয়া এলাকায় তাঁদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাড়ে পাঁচ কোটি নগদ টাকা ও আট কেজি ৭২ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধারের পর থেকেই পলাতক ছিলেন এনামুল ও রুপন। তাঁদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের চারটি মামলা করা হয়। এর পরে এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি ৪০ লাখ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোনসহ এনামুল ও রুপনকে কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা এলাকার একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী সময়ে অর্থ পাচার মামলায় দুই ভাইকে চার দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
নথি থেকে জানা যায়, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের শেয়ারহোল্ডার এনু ছিলেন গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তাঁর ভাই রুপন ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।