এফ আর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতি : মালিকসহ তিনজন কারাগারে

Looks like you've blocked notifications!
এফ আর টাওয়ারের জমির মালিক সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক। ফাইল ছবি

বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনের নকশা জালিয়াতির মামলায় জমির মালিক ফারুকসহ তিন জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো তিন আসামি হলেন- এফ আর টাওয়ারের মালিক সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক ইমারত পরিদর্শক আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী (নান্নু) ও সাবেক উপ-পরিচালক মুহাম্মদ শওগত আলীর।

এর আগে গত ৫ নভেম্বর নকশা জালিয়াতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় তাঁদের জামিন বাতিল করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ।

গত ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে ফারুক রূপায়ণ (এফ আর) টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন ৭৩ জন।

এফ আর টাওয়ারে আগুনে হতাহতের ঘটনায় গত ৩০ মার্চ বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে অবহেলাজনিত মৃত্যু সংঘটনের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন।

মামলায় কাশেম ড্রাইসেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসভীর উল ইসলাম, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল ও বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুককে আসামি করা হয়। গত ৩০ মার্চ রাতেই তাসভীর উল ইসলাম ও ফারুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

অভিযোগ রয়েছে, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বরে ভূমি মালিক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ও রূপায়ণ গ্রুপ যৌথভাবে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেন। তখন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১৮তলা ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন দেয়। ডেভেলপার কোম্পানি ভবনটির ২০ ও ২১তম তলাটি জাতীয় পার্টির প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য মাইদুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে। মাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ফ্লোর দুটি কিনে নেন কাশেম ড্রাইসেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএনপি নেতা তাসভীর উল ইসলাম। এরপর তিনি ছাদের ওপর আরো দুটি ফ্লোর নির্মাণ করেন।