এফ আর টাওয়ার : রাজউকের প্রকৌশলীর জামিন প্রশ্নে রুল
রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ার মামলায় রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমানকে কেন জামিন দেওয়া হবে না এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুল শুনানিতে আইনজীবীকে তাঁর অসুস্থতার বিষয়ে জানাতে বলেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আসামিপক্ষে শুনানি করেন মো. কামরুল ইসলাম।
গত ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট রাজউকের প্রকৌশলীকে এক সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে গত ২৮ নভেম্বর মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সাইদুর রহমান। তখন আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি। আজ হাইকোর্ট শুনানি শেষে আদালত জামিন না দিয়ে রুল জারি করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার অভিপ্রায়ে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬-এর বিধিবিধান লঙ্ঘন করে, ৩২ কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ, বনানী, ঢাকায় ভবন নির্মাণে ১৫ তলার স্থলে ১৮ তলা ভবনের নকশা অনুমোদন ও ডেভিয়েশনসহ ১৮ তলা এফ আর টাওয়ার নির্মাণ করায় দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিক পাঁচ জনকে আসামি করে গত ২৫ জুন মামলাটি দায়ের করেন।
এফ আর টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ৭৩ জন পঙ্গু হয়। এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন ইজারাগ্রহীতা সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক, রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, সাবেক চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন খাদেম ও রাজউকের সাবেক অথরাইজড অফিসার সৈয়দ মকবুল আহমেদ।