এবার রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি ১০ দিনের রিমান্ডে
এবার রাজধানীর মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ৭৬ কর্মীকে করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানা। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শনিবার উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার গোপালগঞ্জের একটি বাসা থেকে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রিমান্ড চেয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়।’
ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জালাল উদ্দিন আহমদ বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মিজানুর রহমানকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। বিচারক ১০ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহা আরো বলেন, ‘মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ৭৬ জন কর্মীকে ভুয়া করোনা রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে গত সোমবার দিবাগত রাতে আমাদের থানায় রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ করিম ও এমডি মিজানুর রহমানসহ হাসপাতালের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মেট্রোরেলের একটি সাব-কন্ট্রাক্টর প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রেজাউল করীম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
চিকিৎসাসেবা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গত ৬ জুলাই বিকেল থেকে রাত অবধি উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালের মূল কার্যালয় ও মিরপুর শাখায় অভিযান পরিচালনা করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হাসপাতালটির আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করা হয়।
এরপর ৭ জুলাই রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের কোভিড ডেডিকেটেড রিজেন্ট হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয় র্যাব-১। এ ছাড়া উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয়ও সিলগালা করা হয়। ৭ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়।
রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি প্রায় সাড়ে চার হাজার করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে। একজন কম্পিউটার অপারেটর বসে বসে সাড়ে চার হাজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। মনগড়া রিপোর্ট পজিটিভ-নেগেটিভ দিয়েছেন।
এরপর গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর বেইলি ব্রিজের দক্ষিণ পাশের লবঙ্গবতী নদীর পাড় থেকে মো. সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।