এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : ৪ জনের ছাত্রত্ব ও সার্টিফিকেট বাতিল
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/10/13/mc-college.jpg)
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চার ছাত্রের ছাত্রত্ব এবং সার্টিফিকেট বাতিল করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি তাঁদের স্থায়ীভাবে এমসি কলেজ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সালেহ আহমদ।
চার ছাত্র হলেন সাইফুর রহমান, রবিউল ইসলাম, শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি ও মাহফুজুর রহমান মাসুম। সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি তাঁরা। এর মধ্যে সাইফুর এ মামলার প্রধান আসামি। তাঁরা চারজনই ধর্ষণের ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজে গিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে পাঁচ থেকে ছয়জন তাঁদের জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যান। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন তাঁরা। পরে ওই গৃহবধূকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় পরের দিন ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন সাইফুর রহমান (২৮), শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)। মামলার অন্য দুই আসামি হচ্ছেন মো. রাজন ও আইন উদ্দিন। তাঁদের মধ্যে সাইফুর রহমান বালাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা, রনির বাড়ি হবিগঞ্জে, তারেক সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা, অর্জুনের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জে, রবিউলের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় আর মাহফুজুর রহমান মাসুমের বাড়ি সিলেটের সদর উপজেলায়।