এম এ হাসেম দেশের শিল্প বিকাশে অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন : জি এম কাদের
বিশিষ্ট শিল্পপতি, পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং সাবেক সংসদ সদস্য এম এ হাসেমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। আজ এক শোকবার্তায় এম এ হাসেমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি। পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের শিল্প বিকাশে অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন এম এ হাসেম। তিনি ব্যাংক, বীমা, আবাসন, পার্টিকেল বোর্ড, আমদানি-রপ্তানি, ইস্পাত, প্লাস্টিক, ভোগ্যপণ্য ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিল্প বিকাশে দেশের সমৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। দেশের বেকারত্ব দূর করতে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। পাশাপাশি দেশের হতদরিদ্র মানুষের জন্য তাঁর মানবিক উদ্যোগগুলো অম্লান হয়ে থাকবে। এম এ হাসেমের মৃত্যুতে দেশের শিল্প-উন্নয়নে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা সহসাই পূরণ হওয়ার নয়।’
এম এ হাসেমের মৃত্যুতে একইভাবে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন এম এ হাসেম। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পপতি এম এ হাসেমকে নিয়ে বুধবার দিনভর ছিল স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। রাত ১টা ২০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় বাঁচানোর সব চেষ্টাই ব্যর্থ, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন টানা এক সপ্তাহ লাইফ সাপোর্টে থাকা এই শিল্পপতি।
এম এ হাসেমের ছেলে শওকত আজিজ রাসেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পিতার মৃত্যুর খবরটি জানান। শওকত আজিজ তাঁর স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আমার বাবা এম এ হাসেম (৭৮) আজ ২৪ ডিসেম্বর রাত ১টা ২০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।’ শওকত আজিজ তাঁর বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার পর গত ১১ ডিসেম্বর এম এ হাসেমকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গত ১৬ ডিসেম্বর তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
তামাক ও ভোগ্য পণ্যের ব্যবসা দিয়ে শুরু করে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীর কাতারে উঠে আসেন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এম এ হাসেম। ড্যানিশ কনডেন্সড মিল্কের মাধ্যমে দেশে তিনিই প্রথম গড়ে তোলেন কনডেন্সড মিল্ক কারখানা।
শিল্পপতি এম এ হাসেম ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ আসন থেকে ধানের শীষের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন তিনি।