ঐতিহ্য রক্ষা করে আধুনিক নগরায়ণ করতে হবে : গণপূর্তমন্ত্রী

ঐতিহ্যকে রক্ষা করে আধুনিক নগরায়ণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, আধুনিক নগর গড়ে তোলার পাশাপাশি আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকেও সংরক্ষণ করতে হবে।
আজ রবিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে ওয়ার্ল্ড আরবান ফোরামের ‘সাংস্কৃতিক উদ্ভাবনের অগ্রায়ন ও অর্থায়নে জাতীয় কৌশল : চ্যালেঞ্জ ও ভালো উদাহরণ’ বিষয়ক মন্ত্রিপর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে গণপূর্তমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবকাঠামো উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী ড. আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, মেক্সিকো, কলাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, মরক্কো, মরিশাস, বেলারুশ, নরওয়ে, ঘানার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এবং ইউএন হ্যাবিটেটের নির্বাহী পরিচালক মাইমুনাহ মোহা. শরীফ আলোচনায় অংশ নেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নানা ঐতিহ্য আছে যার বেশিরভাগকে বাংলাদেশ সংরক্ষণ করছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরের বক্তব্যকে ধারণ করে বাংলাদেশ কার্যকর করছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। অথচ এ জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সবার এগিয়ে আসা দরকার। যাতে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ বিভিন্ন রকম সমস্যা মোকাবিলা করতে পারে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। বহু সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আসাতে তাদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। কার্বন নিঃসরণের ক্ষতি কমাতে নতুন নগরায়ণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সবুজায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া আইনের পরিবর্তন করে হলেও কৃষি জমি ও জলাধার রক্ষা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এবং ইউএনও হ্যাবিটটের সব কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সামগ্রিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে গত কয়েক দশকে অত্যন্ত দ্রুত নগরায়ণ ঘটেছে। সীমিত নাগরিক সুবিধা, সীমিত সম্পদ, দক্ষ মানবসম্পদ ও সুশাসনের দিক বিবেচনায় নগর এলাকায় বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য আশ্রয়, খাদ্য, যোগাযোগ, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, পৌরসেবা এবং বিনোদন সুবিধা প্রদান অধিকতর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যমান নগরায়ণ প্রক্রিয়ায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও নতুন আরবান এজেন্ডা টেকসই উন্নয়নের জন্য সর্বোত্তম পন্থা।
মন্ত্রী আরো বলেন, সাংবিধানিক অঙ্গীকার অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার সব সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী স্থান ও স্থাপনা সংরক্ষণে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে সরকার প্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ এবং উন্নয়নে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
সিটিস অব অপরচুনিটিস-কানেক্টিং কালচার অ্যান্ড ইনোভেশন’ থিম নিয়ে ইউএন-হ্যাবিটেটের আয়োজনে ওয়ার্ল্ড আরবান ফোরামের দশম সেশন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্বের ১৪০টি দেশের ৮০ জন মন্ত্রী, ৭০ জন মেয়র এবং আশি হাজার অংশগ্রহণকারী এই আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশগ্রহণ করেছে।