ওবায়দুল কাদেরকে সতর্ক হতে বললেন ছোট ভাই

Looks like you've blocked notifications!

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তাঁর ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা কাদের বলেছেন, ‘তাঁর (ওবায়দুল কাদের) ওপরও আমার ক্ষোভ আছে। এখানে জিততে হলে তাঁর আমাদের লাগবে। সামনে জিততে হলে উনাকেও সতর্ক হতে হবে। এত সহজ নয়, কঠিন ব্যাপার। বউটউ (স্ত্রী) সামলাতে হবে।’

আজ রোববার সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী পথসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘মুঠোফোনে আমাকে যুব মহিলা লীগের পরিচয় দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেছে। প্রশাসনকে জানিয়েছি, তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাহলে এই মহিলার হাত অনেক শক্তিশালী, না হয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কেন?’

বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের আমার সঙ্গে নেই। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ আমার সঙ্গে নেই। নোয়াখালী ও ফেনীর আওয়ামী লীগ আমার বিরুদ্ধে অস্ত্রশস্ত্র পাঠিয়েছে। ডিসি, এসপি, নির্বাচন অফিসার আমার সঙ্গে নেই। আপনারা কেউ আমার সঙ্গে থাকবেন? থাকলে আমি কথা বলব। না হয়, বাসায় চলে যাব। এক ভোট পাইলে এক ভোট পাব।’

ক্ষোভের সঙ্গে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাদের মির্জা বলেন, ‘এই দলের সঙ্গে ৪৭ বছর ধরে জড়িত। দায়িত্বশীলতার ঘাটতি আছে, আপনি যে বললেন হানিফ সাহেব (মাহবুব উল আলম হানিফ)। আপনি দায়িত্বশীল লোক, ভদ্রলোক, আমাদের দলের নেতা। আপনার কুষ্টিয়াতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটা যে ভাঙছে, আপনি কি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন?’

এই মেয়র পদপ্রার্থী তাঁর অসুস্থতার কথা পুনরায় উল্লেখ করে বলেন, ‘আমেরিকায় চিকিৎসার জন্য গিয়ে আমার দুটি টিউমার ধরা পড়েছে। তখন সেখানে আমি ২৪ দিন ঘরে ছিলাম। ঘরে বসে আমার অনুভূতিতে আঘাত করেছে, আমরা কী করছি। তাই বিমানবন্দরে এসে ঘোষণা করেছি, এখন থেকে আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করব। সত্য কথা বলব। তাই এই নির্বাচনকে আমি অন্যায়ের প্রতিবাদের অংশ হিসেবে নিয়েছি। এটা হলো সত্য কথা। নির্বাচন আমার কাছে মুখ্য নয়। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না।’

ভাইয়ের বিষয়ে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি একটি জায়গায় দুর্বল। ওবায়দুল কাদের সাহেব অসুস্থ। তিনি মারা যাবেন, এটা বললে আমি দুর্বল হয়ে যাই। তাঁরও বুঝতে হবে, তিনি জাতীয় নেতা। আওয়ামী লীগের দুইবারের সাধারণ সম্পাদক। আমি নোয়াখালীর, ফেনীর অপরাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব, গ্যাসের অধিকারের জন্য প্রতিবাদ করব। প্রতিবাদ করলে তখন বলে, আমি নাকি পাগল। আমি নাকি উন্মাদ। কিন্তু আমি ৪৭ বছর ধরেই এ দলের সাথে জড়িত। একদিনের জন্যও অন্য কোনো দল করিনি। আমি সত্যকথা বলেই যাব। সত্য কথা বলার ক্ষেত্রে কখনো পিছপা হব না।’