ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মেয়র কাদের মির্জা

Looks like you've blocked notifications!
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাঁর ছোট ভাই নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। পরে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি : এনটিভি

পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে জয়লাভ করার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে ঢাকায় এসেছেন তাঁর ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। এরপর দুজন শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর মিডিয়ার সামনে কথা বলেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি বলেন, ‘আসলে আমাদের হাইকমাণ্ডের নির্দেশে আমরা যেসব কর্মসূচি নিয়েছিলাম, সেগুলো স্থগিত করেছি। আমাদের তো ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য। শেখ হাসিনার কাছে নোয়াখালীর অপরাজনীতির বিষয়ে এরই মধ্যে অভিযোগ আছে। তিনি যাছাই-বাছাই করে সহসাই পদক্ষেপ নেবেন। আমরা এক মাস পর আবার বিষয়টা আপনাদের জানাব।’

কাদের মির্জা আরো বলেন, ‘হাইকমাণ্ডের নির্দেশে এটা (বিভিন্ন কর্মসূচি) প্রত্যাহার করে নিয়েছি। যদি নোয়াখালীর অপরাজনীতি বন্ধ না হয়, টেন্ডারবাজি, চাকরি-বাণিজ্য, প্রশাসনের ওপর প্রভাব খাটিয়ে যে অপরাজনীতি চলছে এটা যদি বন্ধ না হয়, অস্ত্রবাজি বন্ধ না হয় তাহলে এক মাস পর আমরা আবার আবার কর্মসূচি দেব।’

নির্বাচনের আগে দেওয়া আপনার বক্তব্যে বিষয়ে ওবায়দুল কাদের কিছু বলেছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের মির্জা বলেন, ‘না, কী জন্য বলবে। আমি গঠনতন্ত্র অনুসারে কথা বলেছি। ঘোষণাপত্রে আছে যে, বাকস্বাধীনতা আমার আছে। আমার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে। আমি এজন্য কথাগুলো বলেছি। আমি সাহস করে সত্য কথা বলব। অন্যায়, অবিচার ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আমি অবশ্যই প্রতিবাদ করব। আমি চাই, পরবর্তী নির্বাচনগুলো বাংলাদেশে যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয়। এই নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে এখন থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যার উদাহরণ আমাদের বসুরহাট পৌরসভা।’

আগের নির্বাচনগুলো প্রশ্নবিদ্ধ মনে করেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বলেন, ‘এর আগে কিছু কিছু নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ। সব নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ এটা ঠিক না। বাংলাদেশে ভোটচুরির রাজনীতি শুরু করেছে জিয়াউর রহমান। হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে। ১৯৯১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যে নির্বাচন হয়েছে তা নিরপেক্ষ হয়েছে, বিএনপি ক্ষমতা আসছে। আর মাগুরার নির্বাচনসহ যত নির্বাচন বাংলাদেশে হয়েছে একটা নির্বাচনও বিএনপি ও জাতীয় পার্টির আমলে নিরপেক্ষ হয়নি। আওয়ামী লীগের আমলে অনেক দৃষ্টান্ত আছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন, সেই নির্বাচনগুলোতে বিএনপি বলছে যে, ১২টার পর ভোট কারচুপি হয়েছে। বলছে না? কিন্তু দিনের শেষে দেখা গেল, সেখানে বিএনপি জয়লাভ করেছে। আজকে চৌমুহনীর ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে। আমি মিথ্যা কথা বলতে পারব না, হাতিয়াতে সুষ্ঠু হয় নাই। আমি গতকালকে স্পষ্ট বলেছি, চৌমুহনীতে কোনো অনিয়ম হলে নোয়খালীর ডিসি, এসপিকে দায়ী থাকতে হবে। আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।’

‘আমাদের নেত্রীর (শেখ হাসিনা) প্রতি আস্থা আছে, শতভাগ আস্থা আছে। আমাদের নেত্রী যে নিদের্শ দিবেন সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। নেত্রীর নীতি-নৈতিকতা আছে। কখনো কথা বলে তা থেকে সরে যাননি। বাংলাদেশে নেত্রীর যে উন্নয়ন এটা বিশ্বের রোল মডেল। ৭০ হাজার মানুষের মধ্যে ঘর বিতরণ করেছে, এটা বিশ্বের মধ্যে নজিরবিহীন। এটা কি অস্বীকার করতে পারবেন? শেখ হাসিনা আগামী তিন বছর ক্ষমতা থাকলে তাহলে বাংলাদেশে কোনো কাজ আর বাকি থাকবে না। আমরা চাই, জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন থেকে পরিকল্পনা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয় সেই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।’