ওমিক্রন আতঙ্কে হিলি স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশনে সতর্কতা

Looks like you've blocked notifications!
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। ফাইল ছবি

বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ধরন বা ভ্যারিয়্যান্ট ‘ওমিক্রন’ নিয়ে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে জারি করা হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। এর ফলে ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদ, রক্ত পরীক্ষাসহ নানা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকে স্প্রে এবং চালকদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেকেন্দার আলী জানান, ওমিক্রন নিয়ে হিলি চেকপোস্টে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে যাত্রীদের যাচাই-বাছাই করে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে ইমিগ্রেশন গেটে পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।

বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের সহ-ব্যবস্থাপক অসিত স্যানাল জানান, ভারত থেকে আসা আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাকগুলোতে জীবানুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় ট্রাক চালক ও চালকের সহকারীদের মাস্ক ব্যবহারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ট্রাক চালকেরা যাতে বন্দরের বাইরে বের হতে না পারেন, সেজন্য বন্দরের বিভিন্ন গেটে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হুমায়ুন কবির আজ বুধবার সকালে জানান, আমরা এরই মধ্যে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বন্দর ও ইমিগ্রেশন এলাকায় একটি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে।

হুমায়ুন কবির আরও জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইসরায়েল, বতসোয়ানা, হংকং, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইতালি থেকে যেসব যাত্রী হিলি চেকপোস্ট ব্যবহার করে বাংলদেশে আসবেন, তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। এ কারণে বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে এ বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।