কক্সবাজারের আরও কাছাকাছি মোখা, রোববার সন্ধ্যার মধ্যে আঘাত
প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্কবাতার শেষ তথ্যমতে, এটি আরও ১০৫ কিলোমিটার এগিয়ে এসেছে। রাত ৯টার দিকে প্রকাশিত ওই বার্তা বলছে, সেই সময় ঘূর্ণিঝড়টি এই সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে রোববার (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এর আগে আবহাওয়াবিদ জেবুন্নেছা এনটিভি অনলাইনকে সন্ধ্যা ৭টায় ঘূর্ণিঝড়টি আরও এগিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছিলেন। এরপর রাত ৯টার দিকে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্কবাতার ১৬ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় মোখা।’
আরও বলা হয়, ‘আজ শনিবার মধ্যরাত নাগাদ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দক্ষিণ উপকূল এলাকা দিয়ে এগিয়ে আসছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। এর পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, মোংলাকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছ।