কক্সবাজারে এবার সভা-সমাবেশ ও অনুষ্ঠান বন্ধ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/03/20/cox-pic.jpg)
সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণার পর এবার কক্সবাজারে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়ানুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন আজ শুক্রবার এ ঘোষণা দেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ওয়াজ মাহফিল, তীর্থযাত্রাসহ সব ধরনের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়ানুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা কার্যকর করতে সবার প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আজ সকালে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির জরুরি সভায় জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।
সভায় বিদেশফেরত ব্যক্তিসহ তাঁর সংস্পর্শে আসা সবাইকে কোয়ারান্টিনে থাকতে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। নির্ধারিত কোয়ারান্টিন অমান্যকারীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ এ টি এম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানে বিদেশফেরত ব্যক্তিসহ তাঁর সংস্পর্শে আসা সবার যথাযথ কোয়ারান্টিন, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সরঞ্জামাদির ব্যবহার এবং সর্বোপরি সব ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধকরণ নিশ্চিতের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।
এ ছাড়া পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সদর হাসপাতালের সুপার ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, কক্সবাজার চেম্বারের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা, জেলা জাসদের সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল বক্তব্য দেন।
করোনার ঝুঁকি এড়াতে গত বুধবার বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্রপাড়ের পর্যটকদের সরিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন। ওইদিন থেকে লোকসমাগমে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজারের সব পর্যটনকেন্দ্র পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। চকরিয়া থেকে বিভিন্ন সড়কে পথে পথে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পর্যটক ঠেকাতে চালানো হচ্ছে যানবাহনে তল্লাশি। সচেতনতা বাড়াতে গ্রাম, মহল্লায় প্রচার চলছে।
আজ জুমার নামাজের পর করোনা থেকে মুক্তি পেতে মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া করা হয়।
নিষেধাজ্ঞার পর থেকে পর্যটন স্পট ও সৈকত জনশূন্য হয়ে গেছে। সৈকতে এখন পিনপতন নীরবতা। আজ থেকে বন্ধ হয়ে গেছে সেন্টমার্টিনগামী সব পর্যটকবাহী জাহাজ। আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ক্যাফেসহ খাবার প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধে কোনো ঘোষণা না এলেও কলাতলীর তারকা হোটেল ও আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কর্মজীবীকে ছুটিতে পাঠিয়ে দিয়েছে।