জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতির প্রতি গ্রভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, কবি নজরুল ইসলাম তাঁর সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে মানবতার কথা প্রকাশ করেছেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে তাঁর কবিতা ও গান এক যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছে। উজ্জীবিত করেছে অবহেলিত ও শোষিত মানুষকে। ফলে তিনি ব্রিটিশ শাসকদের চক্ষুশুলে পরিণত হন এবং কারানির্যাতন ভোগ করেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আজ শুক্রবার সকালে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। মূল দল বিএনপি ছাড়াও, ছাত্রদল, জাসাসসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

আজ সকালে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে জাতীয় কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিক্ষা সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান, জাসাস নেতা জাকির হোসেন রোকন, যুবদল নেতা সোহেল আহমেদ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন দ্রোহের কবি নজরুল ইসলামের সমাধিতে শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হচ্ছে।

রিজভী বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের সামনে চলার অন্তহীন প্রেরণার উৎস। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তাঁর কবিতা ও গান যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধা ও এ দেশের মুক্তিকামী মানুষকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে, উজ্জীবিত করেছে। আজও গণতন্ত্রহীন বাংলাদেশে আন্দোলন সংগ্রামে তাঁর কবিতা ও গান আমাদেরকে শক্তি ও সাহস জোগায়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক চিরকালীন দ্রোহের প্রতীক। তাঁর রচনা আমাদের স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। সমাজে শান্তি, সাম্য ও মানবতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাঁর স্বপ্ন পূরণে আমাদেরকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর সৃষ্টিকর্মের জন্য চিরদিন অমর হয়ে থাকবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।’