কবে হবে ছাত্রলীগের কমিটি, পদপ্রত্যাশিদের দৃষ্টি গণভবনে

Looks like you've blocked notifications!
ছাত্রলীগের লোগো। ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের অন্যতম ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে শেষ হয়েছে গত ৬ ডিসেম্বর। সম্মেলন হলেও কমিটির জন্য এখন প্রহর গুনছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনটির সাংগঠনিক অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী ও দলপ্রধান শেখ হাসিনার কাছে পদ প্রত্যাশিদের সিভি পাঠানো হয়েছে। তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবেন। তাই ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশিদের দৃষ্টি এখন গণভবনের দিকে। সবার মুখে মুখে এখন একটাই কথা, কবে ঘোষণা করা হবে ছাত্রলীগের কমিটি।

ছাত্রলীগের নিয়ম অনুযায়ী, দ্বিতীয় অধিবেশনে কমিটি ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। প্রথম অধিবেশন শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘ছাত্রলীগের নতুন কমিটি আজই ঘোষণা হচ্ছে না। তবে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগেই ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। কিন্তু সেটি কবে হবে, তা নির্ধারণ করেননি ওবায়দুল কাদের।’

তবে ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপির ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকল স্তরের নেতাকর্মীদের সক্রিয় রাখতেই কমিটি দেওয়া হয়নি। তবে যে কোনোদিনই ঘোষণা হতে পারে ছাত্রলীগের কমিটি।

বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন পদ প্রত্যাশিরা ব্যাপক সক্রিয় ছিলেন রাজপথে। এর মধ্যে পদ প্রত্যাশি অনেকেই বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন ও সহিংসতার চিত্র তুলে ধরে ব্যতিক্রমী মিছিল-সমাবেশ করেছেন অনেকেই।

কবে হবে ছাত্রলীগের কমিটি জানতে চাইলে ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো নেতাই মন্তব্য করতে রাজি হননি।  

সম্মেলন শেষে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছিলেন, ‘আমরা এখান থেকে সবার সিভি আপার কাছে পাঠাব। আপা আমাদের অভিভাবক। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত।’

গত ৩০ নভেম্বর ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনের দিন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া শুরু হয়, যা ৩ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। সংগঠনের দুই শীর্ষ পদের জন্য ২৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনেছেন। সভাপতি পদে ৯৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। 

প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১৮ সালের মে মাসে। ওই বছরের জুলাইয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী দায়িত্ব পান। দায়িত্ব পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে এ দুটি পদে আসেন আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য।