করোনাভাইরাস : দৌলতদিয়া ও কান্দাপাড়া যৌনপল্লী বন্ধ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের বৃহত্তর দুটি যৌনপল্লী বন্ধ ঘোষণা করল প্রশাসন। এই যৌনপল্লী দুটি হচ্ছে- রাজবাড়ী গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লী এবং টাঙ্গাইলের কান্দাপাড়া যৌনপল্লী।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তাই আমাদের সবার সচেতনতার জন্য আজ থেকে আগামী ১৫ দিনের জন্য যৌনপল্লী বন্ধ করা হয়েছে। যৌনপল্লীতে প্রায় এক হাজার ২০০ যৌনকর্মী ছাড়াও বাড়িওয়ালি, মাসি ও কাজের মেয়ে রয়েছে তিন শতাধিক। মোট দেড় হাজার মানুষ এখানে গাদাগাদি করে থাকেন।’
আশিকুর রহমান আরো জানান, এই সময়ে প্রতিজনকে ২০ কেজি চাল দাওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে তা বিতরণ করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ ছাড়া বন্ধ থাকাকালীন বাড়িওয়ালাদের ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে বাড়িভাড়া না নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মানুষ আসা-যাওয়া করে। যার কারণে এটি বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এ পল্লীর ছয়টি প্রবেশপথের মধ্যে পাঁচটি বন্ধ করে মাত্র একটি পথ খোলা রাখা হয়েছে। এ যৌনপল্লীতে যাতে আগামী ১৫ দিন কেউ ঢুকতে না পারে সেজন্য পুলিশি প্রহরা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে টাঙ্গাইলের কান্দাপাড়া যৌনপল্লী আজ শুক্রবার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ রাত ৭টা থেকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, আজ রাতে শহরের কান্দাপাড়া যৌনপল্লীতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩০ কেজির ৫০০ বস্তা চাল বিতরণের সময় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
‘নির্দেশে বলা হয়, ৩১ মার্চের মধ্যে কোনো যৌনকর্মী বাইরে যেতে পারবে না; বাইরে থেকেও কোনো খদ্দের যৌনপল্লীতে প্রবেশ করতে পারবে না। কেউ এই নির্দেশ অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময়ে যৌনকর্মীদের খাওয়া-দাওয়াসহ যাবতীয় খরচ সরকার বহন করবে বলে জানান ওসি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ শহীদ উল্লাহসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা।