করোনায় প্রথমবারের মতো এক রোহিঙ্গার মৃত্যু
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক রোহিঙ্গা মারা গেছেন। ৭১ বছর বয়সী বৃদ্ধ ওই রোহিঙ্গা উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
দেশে এই প্রথম একজন রোহিঙ্গা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি অনুযায়ী করোনায় মৃত রোহিঙ্গার নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করেনি সরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা জানান, গত ৩১ মে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বৃদ্ধ এই রোহিঙ্গার শ্বাসকষ্ট ও করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তাঁকে ক্যাম্পের ভেতর একটি আইসোলেশন হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর কাছ থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ওই দিন রাতে বৃদ্ধ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়।
শামসুদ দৌজা জানান, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, মারা যাওয়া বৃদ্ধ এই রোহিঙ্গার করোনা ছিল। তিনি ওই রোহিঙ্গার নাম এবং বিস্তারিত বলতে চাননি।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের এই কর্মকর্তা আরো জানান, গতকাল ১ জুন পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনায় আক্রান্ত মোট রোহিঙ্গার সংখ্যা ২৯ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয় একজনের। এর আগে রোহিঙ্গা করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে তারতম্য হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, রোহিঙ্গা করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে বলে যেটি বিভিন্ন মিডিয়ায় এসেছে, তা তথ্যবিভ্রাটের কারণে হয়েছে। মূলত রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যে নমুনাগুলো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে, ওই সব নমুনার মধ্যে কিছু পুরোনো রোগীর নমুনাও থাকে। নতুন ও পুরোনো রোগীর নমুনা পজিটিভ হলে সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা যায়। অনেকই পুরোনো রোগীর ফলোআপ পজিটিভ রিপোর্টকে নতুন রোগী বলে মিডিয়ায় দিচ্ছে বলে জানান তিনি।