করোনার কারণে কক্সবাজার রেল যোগাযোগ প্রকল্পের কাজ পেছাল
করোনা পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল যোগাযোগ প্রকল্পের কাজ এক বছর পিছিয়ে যাচ্ছে। এখন আগামী ২৩ সালের জুন মাসে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার টার্গেট রয়েছে। আগামী বছরের শেষের দিকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারে রেললাইন প্রকল্পের আইকনিক রেল স্টেশন উদ্বোধন করবেন। রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন আজ বুধবার দুপুরে কক্সবাজার এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়ায় বিশ্বে বাংলাদেশ একটি মর্যাদাশীল দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে।’
মন্ত্রী এ সময় দোহাজারী–কক্সবাজার হয়ে রামু-গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য কক্সবাজারে আইকনিক রেলস্টেশন ভবনের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘২০২২ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রেল যোগাযোগ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড পরিস্থিতির কারণে এক বছর পিছিয়ে ২০২৩ সালের জুনের আগে কাজ শেষ করা হবে। ২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রীর এটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা যায়।’
আইকনিক স্টেশনের বিভিন্ন সুবিধার কথা রেলমন্ত্রী এ সময় তুলে ধরে বলেন, ‘এখানে যাত্রীরা এসে থাকতে পারবে, এমনকি তাদের মালামাল রাখার জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’
এই প্রকল্পে এখনও কিছু মামলা আছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মামলাগুলো পরিবারকেন্দ্রিক তবে প্রকল্পের স্বার্থে ব্যক্তিরা তাদের জমি স্বতঃস্ফূর্তভাবে দিয়ে দিয়েছেন। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সব কিছু এখন নিষ্পত্তি হচ্ছে। এটি ট্রান্স এশিয়ান রেল লাইনের একটি অংশ। ভবিষ্যতে মিয়ানমার তাদের অংশ করলে গুনদুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হবে। চকরিয়া থেকে মাতারবাড়ি পর্যন্ত নতুন ১৮ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মিত হবে।’
কক্সবাজারে বহুমুখী উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান আছে এবং এখানকার অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হচ্ছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত একটি আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন । সব সেক্টরে উন্নয়ন হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সারা দেশে অনেক মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ দশটি মেগা প্রকল্পের মধ্যে একটি।’
এ সময় তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান, পদস্থ সরকারি ও রেলওয়ে কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে নির্মাণাধীন রামু রোড অন্ডারপাস এবং ঈদগাহ রাবার ড্যাম সংলগ্ন ১৫৫ নম্বর ব্রিজের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।