করোনার নতুন রোগীদের স্থান হচ্ছে না হাসপাতালে
করোনার নতুন রোগীদের জায়গা হচ্ছে না হাসপাতালগুলোতে। যারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাদের অনেকেই আইসিইউ পাচ্ছেন না। একটি সাধারণ বেডে ভর্তি হতে অনেক রোগীকে হাসপাতালের সামনে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
রাজধানীর জুরাইনে বাসায় থেকেই করোনার চিকিৎসা নিচ্ছিলেন মাহবুব আলম। শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সিলিন্ডার এনে অক্সিজেন দেওয়া হয়। কিন্তু অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল আরও নামতে থাকায় এসেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শরীরের অবস্থা দেখে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু সিট ফাঁকা নেই। কোথায় গেলে ভর্তি করা যাবে সেই নিশ্চয়তাও পাচ্ছেন না স্বজনরা। তাই যদি সিট ফাঁকা হয় সেই অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
মাহবুব আলমের সঙ্গে আসা স্বজন (৩০) এনটিভিকে বলেন, ‘গ্যাস (অক্সিজেন) খুলে দিলে ৮৮ হয়ে যায়। আবার দিলে ৯০ হয়। এখন আমরা নিজস্ব উদ্যোগে সিলিন্ডার দিয়ে রাখছি। এখানে আসছি, বলতাছে যে, সিট খালি নাই। ওয়েট করেন। আমরা চেষ্টা করতাছি। অনেক জায়গায় ফোন দেওয়া হইছে। বলতাছে সিট খালি নাই।’
হাসপাতালে যাদের রোগী ভর্তি আছে তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন, করোনা ওয়ার্ডে হাই-ফ্লো অক্সিজেন দরকার এমন অনেক রোগীকে তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
আর চিকিৎসকরা জানান, হাই-ফ্লো অক্সিজেন দেওয়ার পরেও যাদের আইসিইউ দরকার তাদের সবাইকে আইসিইউ বেড দেওয়া যাচ্ছে না। খালি হলে আইসিইউ দেওয়া হবে। সেজন্য রোগীদের অপেক্ষায় রাখতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মুগদা সরকারি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সবাইকে আইসিইউ দেওয়া সম্ভব না, এটা সবারই জানা। ৩১০টি বেডে যে রোগীরা ভর্তি আছে তাদের মধ্যেই অনেক সময় আইসিইউ প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সিরিয়াল করে তাদের আইসিইউ সেবার আওতায় নিয়ে আসছি। সেক্ষেত্রে হঠাৎ করে যদি বাসায় অবস্থা খারাপ হয় তাৎক্ষণিকভাবে এনে এসে যদি বলে আইসিইউ লাগবে, ভর্তি নেন- তাহলে তো আমাদের পক্ষে সম্ভব না।’
এ ছাড়া চিকিৎসার পাশাপাশি করোনা টেস্টের জন্যও দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে সন্দেহভাজন রোগীদের।