করোনার পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা : সাবরীনার জামিন নাকচ
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফ চৌধুরীর জামিন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল এনটিভি অনলাইনকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ জামিনের আবেদন করলে বিচারক সাবরীনার জামিন নাকচ করেছেন।
নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে গত বছরের ২৩ জুন সাবরীনার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। এরপর ১২ জুলাই সাবরীনাকে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগীয় উপকমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
ডা. সাবরীনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করা মামলাসহ কয়েকটি মামলা করা হয়েছে। সেসব মামলায় তাঁদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি ইসির মামলায় জামিন পেলেও প্রতারণার মামলায় জামিন না পাওয়ায় কারাগারে আটক রয়েছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৫ আগস্ট অভিযোগপত্র দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। পরের দিন ৬ আগস্ট এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
এ মামলায় ডা. সাবরীনা ও আরিফ চৌধুরী ছাড়া অপর ছয় আসামিরা হলেন শফিকুল ইসলাম রোমিও, জেবুন্নেসা, আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী ও বিপ্লব দাস।
অভিযোগপত্রে ডা. সাবরীনা ও আরিফ চৌধুরীকে এই অসাধুচক্রের ‘মূলহোতা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেন বলে বলা হয়েছে।