করোনায় আক্রান্তের পর দেশে মৃত দেড়শ ছুঁই ছুঁই
দেশে গত দেড় মাসে করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা প্রায় দেড়শ ছুঁই ছুঁই। নারী, শিশুসহ সব বয়সী এ তালিকায় রয়েছে। গত ৮ মার্চ থেকে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৫ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘নতুন করে আরো ৪১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট পাঁচ হাজার ৪১৬ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৫ জন।’
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, মৃতদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুজন নারী। এদের মধ্যে চারজন রাজধানীতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। অপরজন ঢাকা জেলার দোহারে মারা গেছে।
‘বয়সের হিসেবে মৃতদের একজনের বয়স ১০ বছরের নিচে। করোনার পাশাপাশি তার নেফ্রটিক সিনড্রোম অর্থাৎ কিডনির সমস্যা ছিল। আমরা শিশুটির জন্য দোয়া করছি। আল্লাহ তাকে বেহেশতে নসিব করুন। আর বাকি চারজনের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়সী একজন, অপর তিনজনের বয়স ৫০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। আমরা তাদেরও আত্মার শান্তি কামনা করছি।’ বলছিলেন নাসিমা সুলতানা।
অনলাইন বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৪৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৪১৮ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ হাজার ৪১৬ জন। বাড়িতে থেকে যারা চিকিৎসা নিয়েছে তাদের হিসাব গ্রহণ করা হয়নি। শুধু যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে তাদের মধ্যে আজকে পর্যন্ত নয়জন এবং মোট ১২২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ২৯ লাখ ২০ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে বর্তমানে ১৮ লাখ ৮০ হাজার ৬৮২ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫৭ হাজার ৮৬৩ জন (৩ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে আট লাখ ৩৬ হাজার ৯৬২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং দুই লাখ তিন হাজার ২৭৬ জন রোগী মারা গেছে।
নভেল করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।