করোনায় দারিদ্র্য সীমা ও বাল্যবিয়ে বৃদ্ধি পেতে পারে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে দারিদ্র্য সীমা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পেতে পারে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯-এর কারণে কিছুটা হলেও স্বাস্থ্য সেবাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাঠকর্মীদের চলাফেরা ব্যাহত হচ্ছে। এতে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হয়েছে। আজ শনিবার বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মহামারি কোভিড-১৯-কে প্রতিরোধ করি, নারী ও কিশোরীর সুস্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করি।’

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের শ্রেষ্ঠ কর্মী ও মিডিয়াকর্মীদের ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি কিছুটা কমেছে, এটি উদ্বেগের। লকডাউন থাকা এবং যানবাহন না পাওয়ায় অনেকে আসছেন না। আমরা চাই না, একজন মা-ও সেবার অভাবে মৃত্যুবরণ করুক।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে সুন্দর স্বাস্থ্যসেবার কারণে মৃত্যুর হার অনেক কম। কোভিড-১৯ কারণে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে একই অবস্থা। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, ডাক্তার, নার্স, যাঁরা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘স্বাস্থ্য সেবায় আমাদের দেশ অনেক এগিয়ে গিয়েছিল। অনেক পুরস্কার পেয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। গড় আয়ু বেড়েছে। মাতৃমৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে। ভ্যাকসিন হিরো হিসেবে খেতাব পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা সবাই মিলে অর্জন করেছি। সবাই মিলে এ সাফল্য ধরে রাখব। আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পারি, সেদিকে নজর দিতে হবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আপনারা অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। ভিড় এড়িয়ে চলবেন। কোভিড-১৯-এর এখনে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। সুনির্দিষ্ট চিকিৎসাও নেই। তবে চিকিৎসার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এতে আমরা ফল পাচ্ছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এফডব্লিউএ, এফডব্লিউপি এসব কর্মকর্তার বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কোভিডের মধ্যেও তারা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে সচেতন করছে। অর্থনৈতিক চাপের কারণে বাল্যবিবাহ হয়। আপনারা জানেন, ৫০ হাজার পরিবারকে আড়াই হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। যাতে অর্থনৈতিক চাপ কমে যায়। সব মিলিয়ে আমি মনে করি, কোভিড-১৯ দীর্ঘ হলেও আমরা বাল্যবিবাহ রোধ করতে সক্ষম হব।’