করোনায় যুবাদেরও মৃত্যু হচ্ছে, সচেতন হওয়ার আহ্বান
করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে দুজন যুবক মারা গেছেন। তাঁদের বয়স ২১ থেকে ৩০-এর মধ্যে। এ দুজনসহ গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১০ জন মারা গেছেন। আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘যুবকদের বেশি সচেতন হতে হবে। আজ দুজন যুবক মারা গেছেন। তাঁদের বাইরে থেকে ঘরে প্রবেশ করার সময় নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।’
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে এ নিয়ে ১২০ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া নতুন করে আরো ৩৯০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট তিন হাজার ৭৭২ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে তিন হাজার ৯৬ জনের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৩৯০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গতকালের চেয়ে ৪ দশমিক ১ ভাগ বেশি পরীক্ষা করা হয়েছে।
ডা. নাসিমা বলেন, করোনায় আক্রান্ত ঢাকা বিভাগেই সবচেয়ে বেশি। ঢাকা বিভাগের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
ডা. নাসিমা সুলতানা আরো বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন পাঁচজন। এ পাঁচজনসহ মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৯২ জন। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ সাতজন ও নারী তিনজন। মৃতদের মধ্যে সাতজন ঢাকার ভেতরে এবং ঢাকার বাইরে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও নারায়ণঞ্জ জেলায় একজন করে মারা গেছে। এ ছাড়া বয়সের দিক থেকে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুজন মারা গেছেন।
অনলাইন ব্রিফিংয়ে ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ১৫০ জনকে। এখন পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে আছে ৯০০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৫ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৫৯৪ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছে তিন হাজার ২৪০ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছে ৩২৭ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছে মোট ৭৮ হাজার ১১৯ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছে ছয় হাজার ৭৮ জন।