করোনা আতঙ্কে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল প্রায় রোগীশূন্য

করোনাভাইরাস আতঙ্কে গোপালগঞ্জ আড়াইশ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল প্রায় রোগীশূন্য হয়ে পড়েছে। ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকেই এ হাসপতালে রোগী কমতে শুরু করে। এখন প্রতিদিন গড়ে এ হাসপাতলে ৫০ থেকে ৭৫ জন রোগী ভর্তি থাকছেন। পাশাপাশি হাসপাতালের বহির্বিভাগে হাতে গোনা কয়েকজন রোগী চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যস্ততা কমেছে।
হাসপাতালের শিশু, গাইনি, সার্জারি, অর্থোপেডিক, মেডিসিন, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে আগে প্রতিদিন সাড়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৪০০ রোগী ভর্তি থাকত। আর বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিত দেড় থেকে দুই হাজার রোগী। শুধু গোপালগঞ্জ নয়, নড়াইল, বাগেরহাট, পিরোজপুর, মাদারীপুর ও বরিশাল জেলার রোগীরা চিকিৎসা নিতে এ হাসপাতালে আসে। তাই প্রতিদিনই এ হাসপাতালে রোগীদের উপচেপড়া ভিড় থাকত। রোগীর কোলাহলে গমগম করত গোটা হাসপাতাল।
হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক বলেন, আড়াইশ রোগীর ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এ হাসপাতালে সাড়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৪০০ রোগী ভর্তি থাকত। বিছানা ছাড়া হাপাতালের মেঝে ও লিফটের সামনেও সিঁড়ি পর্যন্ত অবস্থান করতে হতো রোগীকে। সড়কে যান চলাচল বন্ধ ও করোনভাইরাস আতঙ্কে দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। এখন হাসপাতালের বেশিরভাগ ওয়ার্ডের বিছানাই ফাঁকা থাকছে। বহির্বিভাগেও রোগী কমে গেছে। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালে উপস্থিত থাকছেন। তবে তাদের কর্ম ব্যস্ততা অনেকটাই কমেছে।