করোনা আতঙ্কে চিকিৎসক-রোগীশূন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল

Looks like you've blocked notifications!
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে বিভিন্ন কক্ষ আজ বুধবার সকালে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। ছবি : এনটিভি

করোনাভাইরাস আতঙ্কে রোগীশূন্য হয়ে পড়েছে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল। রোগী না থাকায় এবং নিরাপত্তার অভাবে চিকিৎসকরাও আসছেন না হাসপাতালে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা, সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতাল রোগীশূন্য হয়ে পড়েছে। সরকারি এ হাসপাতালটিতে রোগী ও চিকিৎসক না থাকায় বন্ধ রয়েছে বহির্বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার, ল্যাবরেটরি ও অভ্যর্থনা কেন্দ্র।

আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগে কোনো রোগীর আনাগোনা নেই। সেখানকার চিকিৎসকদের কক্ষগুলো তালাবদ্ধ। বন্ধ রয়েছে টিকিট কাউন্টার। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে ৩০০ থেকে ৪০০ রোগীর ভিড় দেখা যেত, সেখানে করোনাভীতিতে হাসপাতালটি রোগীশূন্য। বর্তমানে পুরো হাসপাতালে বিরাজ করছে ভুতুড়ে পরিবেশ। তবে নিচতলায় জরুরি বিভাগে হঠাৎ হঠাৎ কাটা-ছেঁড়ার চিকিৎসায় কিছু রোগী আসছেন। ব্যান্ডেজ ও সেলাই করে তাঁদের বিদায় দেওয়া হচ্ছে। জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত হাসপাতালের স্টাফরা সেলাই ও ব্যান্ডেজের কাজ করছে। দ্বিতীয় তলায় ওয়ার্ডগুলো ফাঁকা হয়ে আছে। তবে দুই থেকে তিনজন সেবিকাকে সেখানে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।

হাসপাতালে দায়িত্বরত এক নার্স বলেন, ‘রোগী নেই, তাই এখন বাসা থেকে আসি আর যাই। এক কথায়, রোগীর সেবার সময়টুকু এখন হাসপাতালের আসবাবপত্র পাহারায় ব্যয় করছি।’

হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. আবুয়াল হাসানের কক্ষটিও তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার বলেন, ‘বহির্বিভাগ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে। ভর্তি রোগীও ছিল, অনেকে চলে গেছে। জরুরি বিভাগ সবসময় খোলা আছে, চিকিৎসকরাও সেবা দিচ্ছেন।’