করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন প্রায় সোয়া ১৮ লাখ মানুষ

দেশে এ পর্যন্ত প্রায় সোয়া ১৮ লাখ মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। টিকার এই ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা ১৮ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৭। এর মধ্যে পুরুষ ১২ লাখ পাঁচ হাজার ৭৫৮ এবং নারী ছয় লাখ ১০ হাজার ২২৯ জন।

এদিকে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৭ লাখ ৬১ হাজার ৯০২ জন। এর মধ্যে ৩৫ লাখ ৭৩ হাজার ৪৪৬ জন পুরুষ এবং নারী ২১ লাখ ৮৮ হাজার ৪৫৬।

এ ছাড়া আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৭১ লাখ ৬৮ হাজার ৮০৯ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এক লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৮ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৮৮ হাজার দুইজন এবং নারী ৪৯ হাজার ৭৯৬ জন। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৬ হাজার ৮১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ২২৮ এবং নারী ছয় হাজার ৫৮৯ জন।

এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন পাঁচ লাখ ৫২ হাজার ৫২৭ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে দুই লাখ ৬৭ হাজার ৮১১ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩১৭ ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন নয় লাখ আট হাজার ১২৩ জন।

ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮২ হাজার ৪৬৮ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন দুই লাখ ৮৬ হাজার ৫০৬ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন চার লাখ দুই হাজার ২২ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৬৬ হাজার ৪১৪ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এক লাখ ৯১ হাজার ৬৩৮ জন, প্রথম ডোজ ছয় লাখ ৫৮ হাজার ৪৬১ জন।

রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এক লাখ ৬৮ হাজার ১০৬ জন, প্রথম ডোজ পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ২২৮ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন দুই লাখ ১৫ হাজার ৩৭ জন, প্রথম ডোজ সাত লাখ ২৫ হাজার ১৫৭ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮০ হাজার ৮৬৭ জন, প্রথম ডোজ দুই লাখ ৪৮ হাজার ৩৪৭ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এক লাখ ২৩ হাজার ৩২২ জন, প্রথম ডোজ দুই লাখ ৯৮ হাজার ৪৭২ জন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেওয়ার ৬০ দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে।

দেশে টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনও তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।