করোনা : পাবনায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!
পাবনা সদর হাসপাতালের ছবি : এনটিভি

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে পাবনার নয়টি উপজেলাতে করোনাভাইরাস রোধে সচেতনামূলক তেমন কোনো প্রচার করা হচ্ছে না।

এসব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুধু ১০০ করে লিফলেট পাঠানো হয়েছে। ফলে পাবনার প্রায় ২৮ লাখ অধিবাসীর বেশিরভাগই জানে না রোগটির লক্ষণ কী বা কীভাবে রোগটি প্রতিরোধ করা যায়।

এরই মধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলাতে পাঁচজনকে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।

জেলার হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য দপ্তরগুলো মানছে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দিক-নির্দেশনাও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্য পরিচর্যায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অকোপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (এনআইওএসএইচ) অনুমোদিত এন ৯৫ মাস্ক সরবরাহের পরামর্শ থাকলেও জেলার কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তা সরবরাহ করা হয়নি। রোগ নির্ণয়ের জন্য কোনো থার্মাল স্ক্যানার নেই জেলার কেনো স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে।

পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল জানান, নোভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এক হাজার লিফলেট পাওয়া গেছে। তার মধ্য থেকে নয় উপজেলায় ৯০০ এবং ১০০ শহরের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। জেলাতে সচেতনতামূলক কোনো মাইকিং বা ব্যানার ও পোস্টার প্রদর্শন করা হয়নি।

সিভিল সার্জন আরো বলেন, ‘কোনো ফান্ড বরাদ্দ না পাওয়ায় ব্যানার পোস্টার তৈরি সম্ভব হয়নি।’

তবে জনকল্যাণে জরুরি সময়ে অফিসের বিবিধ খাত থেকে খরচ করা যায় বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।

জেলার কোনো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগটি নির্ণয়ের জন্য থার্মাল স্ক্যানার নেই এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত কেনো মাস্কও সরবরাহ করা হয়নি।

পাবনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল হোসেন বলেন, হাসপাতালের ভেতরে জনসচেতনা সৃষ্টির জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। আগে তার দপ্তরে কিছু মাস্ক ছিল সেগুলো স্বাস্থ্য পরিচর্যায় নিয়োজিত কর্মচারীদের সরবরাহ করা হয়েছে। তবে সেটা অত্যন্ত নগণ্য। করোনাভাইরাস নির্ণয়ের জন্য আমার হাসপাতালে কোনো থার্মাল স্ক্যানার নাই।’

জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানান, পাবনার ঈশ্বরদী, চাটমোহর এবং ভাঙ্গুড়ায় বিদেশ ফেরত চারজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তবে তাদের শরীরে কোনো প্রকার করোনাভাইরাসের নমুনা পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া শহরের আরিফপুর আমেনা মনসুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত চারতলা ভবনকে আইসোলেশন কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে একসঙ্গে ২০০ মানুষকে পৃথকভাবে রাখা সম্ভব। এ ছাড়া জেলায় চিকিৎসক সংখ্যা পর্যাপ্ত বলে জানানো হয়।’