করোনা প্রতিরোধে কামরাঙ্গীরচরে কয়েক ধরনের দোকানপাট বন্ধ
করোনা প্রতিরোধে কামরাঙ্গীরচরে দোকানপাট বন্ধ করতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজি সাইদুল ইসলাম মাতবরের কার্যালয় থেকে এটি জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেস্টুরেন্ট, হোটেল, চায়ের দোকান, বেকারি, কনফেকশনারি, ফুচকা-চটপটি ও ছোট-বড় সব ধরনের খাবারের দোকান বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জনস্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করে হাসপাতাল, ক্লিনিক, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধের দোকান, ব্যাংক-এটিএম বুথ, ফলের দোকান, মুদি দোকান, কাঁচাবাজার, যেমন−শাকসবজি, মাছ-মাংসের দোকান, স্টেশনারি, হার্ডওয়্যার, মোবাইল ও ফ্লেক্সিলোডের দোকান এবং শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকানপাট স্বাভাবিক সময় পর্যন্ত খোলা থাকবে।
যদি কেউ এই নির্দেশনা অমান্য করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে কাউন্সিলরের পাশাপাশি কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মশিউর রহমানের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজি মো. সাইদুল ইসলাম মাতবর এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন (পুলিশ) করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দোকানপাট বন্ধ করতে চেয়েছিল। সে জন্য পুলিশ আমাদের সহযোগিতা চেয়েছিল। আমার উদ্যোগে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। মানুষের চলাচল সীমিত করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন মোটামুটি দোকানপাট বন্ধ আছে।’
গণবিজ্ঞপ্তিতে ‘নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক’ কথাটি উল্লেখ থাকলেও এ বিষয়টি সত্য কি না, তা জানতে চাইলে কাউন্সিলর সে প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি।
কামরাঙ্গীরচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুস্তাফা আনোয়ার বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর জন্য। সে জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে আমরা কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানালে তিনি মাইকিং করে দেন।’
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, এটা তাদের নিজস্ব উদ্যোগ। এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।