করোনা সংক্রমণে শীর্ষে মৌলভীবাজার, পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ

Looks like you've blocked notifications!
মৌলভীবাজারে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টার পর দোকানপাট বন্ধ করতে প্রশাসন থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। ছবি : এনটিভি

সারা দেশের কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির হার বিবেচনায় মৌলভীবাজার জেলা রয়েছে শীর্ষে। আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মৌলভীবাজারের পর দ্বিতীয় অবস্থানে মুন্সীগঞ্জ, তৃতীয় চট্টগ্রাম, চতুর্থ ঢাকা ও পঞ্চম অবস্থায় রয়েছে সিলেট। সারা দেশে করোনা সংক্রমণের পরীক্ষার ভিত্তিতে এ পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়।

সংক্রমণ রোধে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টার পর জেলার সব দোকানপাট বন্ধ করতে প্রশাসন থেকে মাইকিং করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘আমরা কয়েকদিন ধরে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে জেলাব্যাপী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। ১ এপ্রিল থেকে আমরা আরও কঠোর হব। সন্ধ্যা ৭টার পর সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হবে। আগামী ১৫ দিন সারা জেলায় মাইকিং করে করোনার টিকা নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া হবে। প্রতিটি হোটেল রিসোর্টের ৫০ শতাংশ বুকিং বাতিল করতে হবে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, জেলাব্যাপী সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিয়ে, ওয়াজ, কীর্তন কিছুই করা যাবে না। এত দিন আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে প্রচার চালিয়ে আসছিলাম। কাল থেকে জেলাব্যাপী আরও গতি বৃদ্ধি করা হবে। সেই সঙ্গে বন্ধ থাকবে সব পর্যটন স্পট।

মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান জানান, করোনা প্রতিরোধে প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পৌর নাগরিকদের সচেতন রাখতে পৌর এলাকার নয়টি ওয়ার্ডে রাত ৮টার মাইকিং করা হয়। গত কয়েক দিন থেকে পৌর এলাকায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। খাবার হোটেলগুলোতে আসন অর্ধেক করার জন্য সব হোটেল মালিককে জানানো হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন চৌধুরী ডা. মো. জালাল উদ্দিন মুর্শেদ জানান, গত ১১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত মোট ৪১৪টি করোনা পরীক্ষার মধ্যে পজিটিভ আসে ৯২ জনের। ওই সময়ে মৃত্যু হয় দুজনের। সংক্রমণের হার ২২.২ শতাংশ। সংক্রমণের দিক থেকে এক নম্বরে আছে মৌলভীবাজার, এই তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত মোট করোনা পজিটিভ রোগী দুই হাজার ৩৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৪ জন। বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি করোনার টিকা নিতে জনগণকে আমরা উৎসাহ দিচ্ছি।